StarLink: বাজারে এল স্টারলিঙ্কের সবচেয়ে সস্তা প্ল্যান, ভারতে ঢুকেই টেক্কা দেবে Jio-Airtel-কে!

Elon Musk, StarLink: ৪০ ডলারের এই নতুন প্ল্যানটি বর্তমানে চালু থাকা ১২০ ডলারের রেসিডেন্সিয়াল প্ল্যান ও ৮০ ডলারের রেসিডেন্সিয়াল লাইট প্ল্যানের তুলনায় অনেক সস্তা। কিন্তু সস্তার ইন্টারনেট মানেই একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত রয়েছে। নতুন চালু হওয়া এই প্ল্যানটিতে ডাউনলোড স্পিড বেঁধে দেওয়া হয়েছে ১০০ এমবিপিএসে।

StarLink: বাজারে এল স্টারলিঙ্কের সবচেয়ে সস্তা প্ল্যান, ভারতে ঢুকেই টেক্কা দেবে Jio-Airtel-কে!
ভারতে আসার আগেই ৫০ শতাংশ দাম কমল!

Nov 13, 2025 | 4:56 PM

যে কোনও দিন ভারতের বাজারে ঢুকে পড়তে পারে ইলন মাস্কের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা স্টারলিঙ্ক। আর বাজারে ঢুকেই কি তারা প্রথম ধাক্কা দেবে ৫জি ইন্টারনেট প্রদানকারী সংস্থাগুলোকে? সেই প্রশ্ন উঠছে। কারণ, আমেরিকার বাজারের জন্য স্টারলিঙ্ক নিয়ে এল সবচেয়ে সস্তা প্ল্যান। এই প্ল্যানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘রেসিডেন্সিয়াল ১০০ এমবিপিএস’। প্রতি মাসে এর খরচ মাত্র ৪০ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৩ হাজার ৪০০ টাকার আশেপাশে। যা তাদের অন্য প্ল্যানগুলির তুলনায় অনেকটাই কম। এই নীরব পদক্ষেপটি বাজারে একটি নতুন প্রতিযোগিতা তৈরি করল।

৪০ ডলারের এই নতুন প্ল্যানটি বর্তমানে চালু থাকা ১২০ ডলারের রেসিডেন্সিয়াল প্ল্যান ও ৮০ ডলারের রেসিডেন্সিয়াল লাইট প্ল্যানের তুলনায় অনেক সস্তা। কিন্তু সস্তার ইন্টারনেট মানেই একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত রয়েছে। নতুন চালু হওয়া এই প্ল্যানটিতে ডাউনলোড স্পিড বেঁধে দেওয়া হয়েছে ১০০ এমবিপিএসে। যদিও আপলোড স্পিড এবং ডেটা ব্যবহারে কোনো সীমা নেই।

আপনার জন্য কি এই প্ল্যানটি উপযুক্ত?

স্টারলিঙ্ক স্পষ্ট জানিয়েছে যে এই প্ল্যানটি ছোট পরিবারগুলির জন্য আদর্শ। যে সব বাড়িতে ২ থেকে ৩ জন সদস্য রয়েছে। সেখানে ওয়েব ব্রাউজিং, ভিডিয়ো কল ও এইচডি ভিডিয়ো স্ট্রিমিংয়ের মতো দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্যই এটি তৈরি। কিন্তু যদি আপনি একই সঙ্গে ৪কে স্ট্রিমিং বা বড় গেম ডাউনলোড করেন, তবে এই প্ল্যান আপনার জন্য নয়। কারণ এটি তৈরিই করা হয়েছে হালকা ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে।

অন্যদিকে, রেসিডেন্সিয়াল লাইট প্ল্যান প্রায় ২৫০ এমবিপিএস স্পিড দেয়। আর রেসিডেন্সিয়াল প্ল্যানের স্পিড ৪০০ এমবিপিএস বা তার বেশি।

কেন দাম কমল?

বাজারে নিজেদের আধিপত্য বাড়াতে ও আরও ব্যবহারকারীকে আকৃষ্ট করতেই এই দাম কমিয়েছে স্টারলিঙ্ক। জুলাই মাসের তথ্য বলছে এই সংস্থার অ্যাকটিভ গ্রাহকের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ২০ লক্ষ। আমেরিকার বাজারে অন্যান্য ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীরা সাধারণত মাসে ৮০ ডলারের আশেপাশে চার্জ করে। স্টারলিঙ্কের এই ৪০ ডলারের প্ল্যান এখন ঐতিহ্যবাহী ব্রডব্যান্ড সংস্থাগুলির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমানে প্ল্যানটি শুধুমাত্র নেব্রাস্কা, মিনেসোটা এবং নেভাডার মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত অঞ্চলে পাওয়া যাচ্ছে। ভারতে এখনও স্টারলিঙ্ক-এর বাণিজ্যিক পরিষেবা চালু না হলেও, এই ধরনের দাম কমাবার প্রবণতা ভবিষ্যতে ভারতের বাজারেও পরিবর্তন আনতে পারে। আর স্টারলিঙ্কের এই প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতার কারণে লাভবান হবে ভারতীয় গ্রাহকরাই।