
নয়াদিল্লি: পাকা কথা হয়েই গিয়েছিল। শুভ ক্ষণটা খোঁজা বাকি ছিল। এবার হয়তো তাও মিটে গিয়েছে। রয়টার্স সূত্রে জানা গিয়েছে, মার্কিন স্যাটালাইট টেলিকম সংস্থা স্টারলিঙ্ককে ভারতের ব্যবসা করার জন্য অনুমোদন দিয়েছে টেলিকম মন্ত্রক। সেই অনুমোদনের সঙ্গে মাস্কের সংস্থার হাতে একটি বিশেষ লাইসেন্সও তুলে দিয়েছে তারা।
সূত্রের খবর, এদিন একা স্টারলিঙ্কই এই লাইসেন্স পায়নি। পেয়েছে আরও দু’জন। আবহ বলছে, এই দুই ভারতের স্যাটালাইট ভিত্তিক ইন্টারনেটের বাজারে হতে চলেছে স্টারলিঙ্কের প্রতিনিধি। কিন্তু কারা এরা? রয়টার্স জানাচ্ছে, টেলিকম মন্ত্রকের থেকে লাইসেন্স পাওয়া তৃতীয় সংস্থা হল স্টারলিঙ্ক। তার আগে এই লাইসেন্স পেয়েছে ইউটেলস্যাটস ওয়ানওয়েব ও রিলায়েন্স জিও।
অবশ্য, এই লাইসেন্স পাওয়ার প্রসঙ্গে টেলিকম মন্ত্রক, এমনকি স্টারলিঙ্কও এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ভারতে প্রবেশের পথ খুঁজছে স্টারলিঙ্ক। যা জোরদার হয়েছে ২০২৫ সালে। মার্কিন মসনদে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসতেই সেই স্টারলিঙ্কককেই চালু করতে উদ্যত্ত হয়েছে কেন্দ্র সরকার। সেই ভিত্তিতে কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়ন্ত্রিত এই ইন্টারনেট পরিষেবা যাতে জাতীয় নিরাপত্তাকে প্রশ্ন চিহ্নের মুখে না ফেলে তাই আগেভাগেই ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্কের জন্য একটি নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার।
কিন্তু স্টারলিঙ্ক ভারতে এলে খরচ কেমন পড়বে? সেই প্রসঙ্গে এখনও যথাযথ তথ্য না মিললেও, একটা সম্যক ধারণা তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। ইকোনমিক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সাধারণ ডেটা প্ল্যানের দরেই বিক্রি হবে উপগ্রহ ভিত্তিক ডেটা প্ল্যানগুলি। অনুমান, স্টারলিঙ্কের ইন্টারনেট পাওয়া যাবে দশ মার্কিন ডলারেরও কমে বা ভারতীয় মুদ্রায় ৮৪০ টাকায়।