
নয়া দিল্লি: অফিসের অ্যাটেনডেন্স, আধার কার্ডের মতো পরিচয়পত্র থেকে শুরু করে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলা, রেশন কার্ড করা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। এবার ই-মেইলও (E-mail) হতে চলেছে বায়োমেট্রিক (Biometric)। অর্থাৎ পাসওয়ার্ড ছাড়াই ই-মেল খোলা যাবে। কেবল মুখ ও আঙুলের ছাপ মিলতে হবে। এমনটাই চালু করছে গুগল। ৫ নভেম্বর, পাসওয়ার্ড ডে থেকেই এই পদ্ধতি চালু হয়েছে।
বর্তমান যুগে শিক্ষা থেকে চাকরি-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অন্যতম প্রয়োজনীয় অফিসিয়াল ঠিকানা হল ই-মেইল। পার্সোনাল ই-মেইলের পাশাপাশি বিভিন্ন কর্পোরেট অফিসের তরফে কর্মীদের আলাদা ই-মেইল খুলে দেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত প্রতিটি মেইল পাসওয়ার্ড দিয়ে সুরক্ষিত। অর্থাৎ ই-মেইল খুলতে গেলে একটি পাসওয়ার্ড দিতে হয়। যার ই-মেল, সে নিজেই পাসওয়ার্ড স্থির করে। পাসওয়ার্ড ছাড়া ই-মেইল খোলা সম্ভব নয়। তবে এবার সেই পদ্ধতি বদলাতে চলেছে।
অনেকেই নিয়মিতভাবে ই-মেইল ব্যবহার করেন না। আবার অনেকের ফোনে বা ল্যাপটপে ই-মেইল সবসময় খোলা থাকে। ফলে প্রতিবার মেইল ব্যবহার করতে পাসওয়ার্ডের খুব একটা প্রয়োজন হয় না। কিন্তু, অন্য ডিভাইসে মেইল খুলতে গেলে অনেক সময়ই ভেরিফিকেশনের জন্য পাসওয়ার্ড চায়। সেটা না দিতে পারলে ওই মেইল খুলতে অনেক ঝক্কি পোয়াতে হয়। আবার নিয়মিত ই-মেইল ব্যবহার না করার ফলেও অনেকে পাসওয়ার্ড ভুলে যান। তখন তাকে forgotten password দিয়ে অনেক কসরত করে ই-মেইল করতে হয়। এবার এই সমস্ত ঝক্কি পোয়ানোর দিন শেষ হতে চলেছে। ই-মেইল খোলার জন্য আর পাসওয়ার্ড লাগবে না। কেবল মুখ ও আঙুলের ছাপ দিলেই হবে। সেগুলি মিললেই মেইল খুলে যাবে।
গ্রাহকের সুবিধার পাশাপাশি হ্যাকারদের হাত থেকে মেইল-কে সুরক্ষিত রাখতেও বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ভীষণ কার্যকরী বলে মনে করছে গুগল। গবেষকদের মতে, মাত্র ৩ সেকেন্ডে পাসওয়ার্ড হ্যাক সম্ভব। কিন্তু, বায়োমেট্রিক ই-মেইল হ্যাক হওয়া সাধারণত সহজ নয়। তাই বায়োমেট্রিক পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক মেইল চালু করার পক্ষে গুগল। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে মাইক্রোসফটের সঙ্গে আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে এবং আপাতত পার্সওয়ার্ড ডে থেকেই এটি চালু হয়ে গেল।