নয়া দিল্লি: ইএমআই দিতে দিতে কালঘাম ছুটে যায় সাধারণ মানুষের। বিশেষত গৃহঋণের ক্ষেত্রে এত দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নিতে হয়, যা কার্যত বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। তবে ২০২৪-এ সেই ঋণ-গ্রহীতারা স্বস্তি খবর পেতে পারেন। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ইএমআই নিয়ে কোনও স্বস্তির খবর আসেনি। গত বছর এমন পরিস্থিতি ছিল যে ইএমআই-এর বোঝা হ্রাস পায়নি। গত দু বছরে হোম লোনের ইএমআই মোটের ওপর ২০ শতাংশর বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪ সাল নতুন আশা নিয়ে এসেছে বলেই মত অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। অনুমান করা হচ্ছে এবার সুদের হার কমতে পারে।
০.৫ শতাংশ থেকে ১.২৫ শতাংশ কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে। এমন অনেক কারণ রয়েছে যা থেকে ইঙ্গিত মিলছে যে, এবার সুদের হার কমানো হতে পারে।
আসলে বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির কারণে, আরবিআই ২০২২-এর মে থেকে ২০২৩-এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্রমাগত রেপো রেট বাড়িয়েছে। যার কারণে সব ঋণগ্রহীতা তাদের সুদ বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন। ২০০৯ সাল থেকে মূল্যবৃদ্ধি অনেকাংশে কমে এলেও এরপর থেকে আর সুদের হার কমায়নি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এমন পরিস্থিতিতে রেপো রেট কমানো হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ফলে কমতে পারে ইএমআই-এর বোঝা।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যখন তার রেপো রেট পরিবর্তন করে, তখন এটি কেবল গৃহঋণে নয় গাড়ির ঋণ এবং অন্যান্য ঋণের ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়ে। যখন মূল্যবৃদ্ধি খুব বেশি হয়, তখন আরবিআই রেপো রেট বাড়িয়ে অর্থনীতিতে অর্থ প্রবাহ কমানোর চেষ্টা করে। রেপো রেট বেশি হলে, আরবিআই থেকে ব্যাঙ্কগুলি যে ঋণ পায় তা ব্যয়বহুল হয়ে যায়, যার কারণে ব্যাঙ্কগুলি তাদের গ্রাহকদের জন্য ঋণ আরও ব্যয়বহুল করে দেয়। এটি অর্থনীতিতে অর্থ প্রবাহ হ্রাস করে। অর্থপ্রবাহ কমলে কমে চাহিদাও। এরপর নিয়ন্ত্রণে আসে মূল্যবৃদ্ধি।