
বেসরকারি সংস্থায় যাঁরা চাকরি করেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুবিধা পান। এই ফান্ডে কিছু টাকা ওই বেসরিকারি সংস্থায় চাকরিরত ব্যক্তির বেতন থেকে কাটা হয়। আর সম পরিমাণ অর্থ দেয় ওই সংস্থা। তবে, চাকরি বদলের সঙ্গে সঙ্গে পিএফ অ্যাকাউন্টও স্থানান্তর করতে হয়। আর এর জন্য ১৩ নম্বর ফর্ম পূরণ করতে হয়। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই এই স্থানান্তর সম্ভবপর হয় না। অনেকক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে স্থানান্তরের আবেদন করা হলেও সেই আবেদন গৃহীত হয় না।
এই সমস্যার সমাধানের জন্য ইপিএফও প্রত্যেক কর্মচারীর জন্য আলাদা আলাদা UAN জারি করেছে। বলা হয়েছে, একই ব্যক্তির যখন দ্বিতীয় অ্যাকাউন্ট খোলা হবে, তখন ওই UAN-এর অধীনেই নতুন পিএফ অ্যাকাউন্ট খুলবে। কিন্তু, একই UAN-এর অধীনে নতুন পিএফ অ্যাকাউন্ট খুললেও সেই অ্যাকাউন্ট পুরনো অ্যাকাউন্টের সঙ্গে মার্জ করাতে হবে। মার্জ না করালে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন বেসরকারি ক্ষেত্রে চাকরি করা কর্মচারীরা।
১. একাধিক পিএফ অ্যাকাউন্টে কী সমস্যা?
অবসরের আগে পিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে বারণ করেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু তাও অনেকের প্রয়োজন থাকলে তারা পিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে লোন নেন বা কিছুটা পরিমাণ টাকা তুলে নেন। একাধিক পিএফ অ্যাকাউন্ট থাকলে টাকা তোলার জন্য শুধু বর্তমান সংস্থার পিএফ অ্যাকাউন্টটি বিবেচিত হবে। তখন বাকিগুলোতে টাকা থাকলেও সেই টাকা কোনও কাজে লাগবে না।
২. টাকা পেতে সমস্যা
চাকরি ছেড়ে ২ মাস কোনও নতুন চাকরি না করলে পিএফের পুরো টাকা তোলা যায়। কিন্তু আগের সমস্ত পিএফ অ্যাকাউন্ট মার্জ না করলে সেই সুবিধা পাওয়া যাবে না।
৩. একাধিক UAN হতে পারে
নতুন সংস্থায় যোগদানের সময় সেই সংস্থাকে পুরনো পিএফ অ্যাকাউন্টের বিষয়ে না জানালে তারা নতুন করে আরও একটি UAN ইস্যু করতে পারে। সে ক্ষেত্রে সেই UAN-এর কেওয়াইসি করতে গেলে সমসায় পড়তে পারেন।
৪. পেনশন নিয়ে টেনশন
চাকরি জীবনের শেষে পেনশন পাওয়ার জন্য কোনও ব্যক্তিকে অন্তত ১০ বছর টাকা চাকরি করতে হবে। আর পিএফ অ্যাকাউন্টগুলো মার্জ না করলে ওই ব্যক্তির চাকরির ইতিহাস একত্রিত হবে না। ফলে পেনশন নিয়েই তখন পড়তে হবে টেনশনে!