
বেসরকারি চাকরিজীবীদের বেতনের একটা অংশ জমা পড়ে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে। আর এর মধ্যে কিছুটা আবার জমা পড়ে পেনশন ফান্ড বা ইপিএসের অধীনে। কিন্তু আপনার সেই পেনশনের টাকা কি সঠিক জায়গায় জমা পড়ছে? অনেক ক্ষেত্রে আপনি যে সংস্থায় চাকরি করেন, সেই সংস্থার ভুলে আপনার প্রাপ্য টাকা জমা পড়ে যায় অন্য লোকের অ্যাকাউন্টে। আর সেই সমস্যা মেটাতে এবার কড়া নির্দেশিকা জারি করল ইপিএফও।
এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন লক্ষ্য করেছে অনেক ক্ষেত্রে এমন অনেক কর্মীদের ইপিএসের টাকা জমা পড়েছে যা তাদের প্রাপ্য হতে পারে না। আবার অনেক এমন কর্মী বাদ পড়েছেন যাদের এই টাকা প্রাপ্য। আর এতেই তৈরি হয়েছে একটা আইনি জটিলতা। আপনার অবসরের সময় যাতে আপনাকে দৌড়াদৌড়ি করতে না হয়, সেই কারণেই এবার নতুন এক উদ্যোগ নিয়েছে ইপিএফও।
যদি আপনার টাকা অন্য কারও অ্যাকাউন্টে জমা হতে থাকে তাহলে আপনাকে সেই ভুল সংশোধন করতে হবে। ইপিএফও জানিয়েছে মূলত দুটো পথে এই সংশোধন হবে।
এই নিয়ম শুধু সাধারণ কোম্পানি উপর প্রযোজ্য হবে এমন নয়। যাদের নিজস্ব প্রভিডেন্ট ফান্ড ট্রাস্ট আছে তাদের জন্যও প্রযোজ্য। যদিও এই পুরো প্রক্রিয়াটি হবে সুদের হার হিসেব করে।
পেনশন ক্লেম করার ক্ষেত্রে অনেক সময় ফাইল আটকে যায়। এই নতুন ব্যবস্থায় সেই বাধা কাটবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেটা নির্ভুল থাকলে দ্রুত টাকা পাওয়া সম্ভব। ভবিষ্যতের অর্থাৎ অবসরের সময়ের দুশ্চিন্তা কমাতে এখনই ওয়েবসাইট চেক করুন। ইপিএফওর নতুন এই নিয়মে বিরাট স্বস্তি পাবেন সাধারণ চাকুরিজীবীরা।