
নতুন চাকরি পেয়েছেন। একই সঙ্গে ছেড়েছেন পুরনো চাকরি। নতুন চাকরিতে বেড়েছে আপনার বেতন। হয়েছে পদোন্নতি। আর এই সময় অনেকেই একটা বিরাট ভুল পদক্ষেপ করে ফেলেন। কিন্তু এই পদক্ষেপ করা যে একেবারেই সঠিক নয়, সেই কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
নতুন চাকরি পেয়েই অনেকে নিজের পুরনো ইপিএফও অ্যাকাউন্টটা বন্ধ করিয়ে দেন। সেটা কিন্তু একেবারে ঠিক নয়। আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনার প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা কিন্তু আপনার অতিরিক্ত টাকা নয়। এটা দীর্ঘদিন ধরে জমা হওয়া আপনার নিজেরই টাকা। যা এতদিন জমা ছিল সরকারের কাছে।
আপনি যদি আপনার পুরনো অ্যাকাউন্ট বন্ধ না করেন, তাহলে আপনার পিএফ অ্যাকাউন্টে ওই টাকা থেকে যায়। আর সেই টাকায় বছর বছর নির্দিষ্ট হারে সুদ দেয় কেন্দ্র সরকার। ফলে, বহুদিন এই টাকা থাকলেও তা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে থাকে না। বর্তমানে বছরে ৮.২৫ শতাংশ হারে সুদ দিয়ে থাকে ইপিএফওর অছি পরিষদ।
ইপিএফওর এই সুদ কিন্তু যে কোনও ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিটের তুলনায় অনেকটা বেশি। ফলে, আপনার অবসরের সময় সুদ সমেত আপনার কাছে যে পরিমাণ টাকা আসবে, সেটা নেহাত কম নয়।
আপনার বয়স যদি ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হয়। আপনাকে এখনও ২৫ থেকে ৩০ বছর এই অ্যাকাউন্ট টেনে নিয়ে যেতে হবে। ফলে, এই অ্যাকাউন্টটি আপনি বন্ধ করবেন না। এতে আপনি যে পরিমাণ টাকাই জমা রাখুন না কেন, আপনার কাছে ফিরবে অনেকটা হয়েই।