
১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, লোকসভা ফের শুনল দেশের ৮১ লক্ষ মানুষের দীর্ঘশ্বাস। কেন? কারণ, আজকের দিনে আর ১ হাজার টাকায় কারও সংসারই চলে না। ১ কেজি আটার দাম পেরিয়ে গিয়েছে ৩০ টাকা। একই ভাবে ১ কেজি চালের দাম পার করেছে ২৫ টাকা। ফলে, ২০১৪ সালে ঠিক হওয়া ১ হাজার টাকার ন্যূনতম পেনশনে আজ আর সংসার চলে না। আর সেই কারণেই দাবি উঠেছে পেনশন ন্যূনতম ৭ হাজার ৫০০ টাকা করার। আর এর সঙ্গে যোগ হবে মহার্ঘ ভাতা। কিন্তু শ্রম মন্ত্রকের উত্তর শুনে চিন্তার ভাঁজ আরও চওড়া হয়েছে পেনশনভোগীদের।
আপনি যদি চাকুরিজীবী হন, তবে জানেন আপনার বেতনের ৮.৩৩ শতাংশ যায় চলে যায় এমপ্লয়ার্স পেনশন স্কিমের তহবিলে। কেন্দ্র এই টাকার উপর জমা করে আরও ১.১৬ শতাংশ টাকা। তবে, কোনও কর্মচারীর বেসিক বেতনের সর্বোচ্চ সীমা হয় ১৫ হাজার টাকা। সরকার বলছে এখানে তৈরি হয়েছে ‘অ্যাকচুয়ারিয়াল ডেফিসিট’ বা বীমা গাণিতিক ঘাটতি। সহজ কথায়, তহবিলে যা সম্পদ আছে, তার চেয়ে আগামীর দায়বদ্ধতা অনেকটা বেশি।
ন্যূনতম পেনশন: সাধারণ চাকরিজীবীরা চাইছেন নূন্যতম পেনশন ১ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ হাজার ৫০০ টাকা করা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মুহূর্তে পেনশন বাড়ানো মানেই তহবিলের ওপর অতিরিক্ত চাপ। সরকার জানাচ্ছে, পেনশন হিসাবে ১ হাজার টাকা দিতেই হিমশিম খাচ্ছে তারা। আর সেই কারণেই মুদ্রাস্ফীতি দেখা গেলেও বাড়ছে না পেনশনের টাকা।