
নয়া দিল্লি: চাকরিজীবীদের ভবিষ্যতের সঞ্চয় হল এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ইপিএফও (EPFO)। মাসে মাসে বেতনের একটা অংশ জমা পড়ে ইপিএফ অ্যাকাউন্টে। এবার বেসরকারি চাকরিজীবীরা কেরিয়ারে উন্নতির জন্য চাকরি বদল করে থাকেন। এই চাকরি পরিবর্তনের সময়ই অনেক সময় কর্মচারীরা এমন একটা ভুল করে বসেন, যার কারণে পিএফের টাকা আটকে যেতে পারে বা টাকা জমা হলেও, সুদ পাওয়া যায় না।
নতুন চাকরিতে যোগ দিলেও, ইপিএফও অ্যাকাউন্ট কিন্তু একটাই থাকে। অনেকে ভাবেন যে নতুন চাকরি মানে নতুন পিএফ অ্যাকাউন্ট। চাকরি পরিবর্তন করার সঙ্গে সঙ্গেই ইউএএন (UAN ) নতুন কোম্পানিকে দেওয়া উচিত। ওই নম্বর দিয়েই তারা নতুন অ্যাকাউন্ট খুলে দেন, যেখানে নতুন সংস্থার ও আপনার নিজস্ব আর্থিক অনুদান মাসে মাসে জমা পড়ে। এক্ষেত্রে মনে রাখা দরকার, একাধিক পিএফ অ্যাকাউন্ট থাকলেও, UAN নম্বর একটাই হয়।
আপনি যদি নতুন পিএফ অ্যাকাউন্ট খোলেন, তবে পুরনো অ্যাকাউন্টের সঙ্গে মার্জ বা একত্রিত করা জরুরি। যদি দুটি অ্যাকাউন্ট মার্জ না করেন, তবে পুরনো অ্যাকাউন্টে জমা টাকা ও তার উপরে সুদ আপনি পাবেন না।
নতুন ইপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলার কারণে, পুরানো অ্যাকাউন্টে থাকা আপনার টাকা একসঙ্গে দেখা যায় না। এছাড়াও, কর সাশ্রয়ের দৃষ্টিকোণ থেকেও তাদের একীভূত করা প্রয়োজন। ইপিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলার সময় পাঁচ বছরের এই সীমা পালন করা হয়। পাঁচ বছর ধরে অবদান রাখার পর, জমা অর্থ তোলার উপরে কোনও কর দিতে হয় না।