নয়া দিল্লি: শতাব্দীর ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার সাক্ষী হল শুক্রবারের ওড়িশার বালেশ্বর। করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express) দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩০০-র কোটায়। গুরুতর আহত হয়েছেন ৯০০-র বেশি। রাজ্য সরকার থেকে কেন্দ্রীয় সরকার মৃতদের পরিবার ও আহতদের জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে। কিন্তু, আপনি কি জানেন যে, ট্রেনের টিকিট বুকিং করার সময় যে কেউ ভ্রমণ বিমার (Travel Insurance) বিকল্প পেতে পারেন। ফলে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটলে আহত ব্যক্তি বা নিহতের পরিবার বিমার ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন। আর এই বিমার সুবিধা পেতে খরচ করতে হবে মাত্র ৩৫ পয়সা। মাত্র ৩৫ পয়সা খরচ করে ৭ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমা পেতে পারেন। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগছে! কিন্তু, এটাই সত্যি। কী ভাবে ৩৫ পয়সা খরচ করে ট্রেন-বিমা মিলবে জানুন।
৩৫ পয়সা ভ্রমণ-বিমা কী?
ট্রেনের টিকিট বুক করার সময়ই অপশন আসে যাত্রী ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স নিতে চায় কি না। অপশনে হ্যাঁ দিলে যাত্রীদের থেকে টিকিটের সঙ্গে অতিরিক্ত ৩৫ পয়সা নিয়ে নেওয়া হয়।
কত টাকার বিমা মিলবে এবং কারা বিমার সুবিধা পায় ?
ট্রেন দুর্ঘটনায় কোনও যাত্রী আহত হলে তিনি সাড়ে ৭ লক্ষ টাকার বিমা পাবেন। এর সঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য বিনামূল্যে ২ লক্ষ টাকার চিকিৎসার সুবিধা দেওয়া হবে। অন্যদিকে, ট্রেন দুর্ঘটনায় যাত্রীর মৃত্যু হলে বা স্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে গেলে তাঁর পরিবারের সদস্যরা বা তিনি ১০ লক্ষ টাকার বিমা পান। তবে যাঁরা ৩৫ পয়সা বিমার জন্য দিয়েছেন, কেবল তাঁরাই এই বিমার সুবিধা পাবেন। এর জন্য টিকিট বুকিংয়ের সময় নমিনির বিবরণ সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
করমণ্ডল দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা কি এই টাকা পাবে?
করমণ্ডল ট্রেনের টিকিট বুক করার সময় যে সমস্ত যাত্রী ৩৫ পয়সার বিনিময়ে ভ্রমণ-বিমা নিয়েছিলেন, তাঁরা এই বিমার আওতায় তিনি ১০ লক্ষ টাকা পাবেন। তবে এই বিমা দাবি করার পদ্ধতি একটু ভিন্ন। রেল এই টাকা দেয় না। যে কোম্পানি ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স করেছে, সেই কোম্পানি এই ইন্স্যুরেন্সের টাকা দেয়।
ভ্রমণ বিমার নিয়ম কী?
যে সমস্ত যাত্রীরা অনলাইনে টিকিট বুক করেছেন কেবল তাঁদের জন্য ভ্রমণ বিমা প্রযোজ্য। ভ্রমণ বিমা কেবল নিশ্চিত এবং RAC টিকিটের যাত্রীদের জন্য উপলব্ধ।
কীভাবে ভ্রমণ বিমা দাবি করবেন?
ট্রেন দুর্ঘটনায় যাত্রীর মৃত্যু হলে এই বিমার নমিনি বা সুবিধাভোগীকে ওই দুর্ঘটনার ৪ মাসের মধ্যে ভ্রমণ বিমার দাবি জানাতে হবে। যে সংস্থাটি এই বিমা করেছে সেখানে যেতে হবে এবং বিস্তারিত বিবরণ দিতে হবে। সাধারণত, ভ্রমণ বিমার দাবি জানানোর কয়েক দিনের মধ্যেই সুবিধা মেলে।