
শুধুমাত্র ভারত নয়, গোটা পৃথিবীতেই বিমান পরিবহণের ব্যবসা খুব একটা লাভজনক নয়। ফলে, বেশিরভাগ বিমান সংস্থাই অলাভজন সংস্থা হিসাবে থাকে। ভারতের বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের মধ্যেও বেশিরভাগ অলাভজন। ভারতের একমাত্র লাভজনক এয়ারলাইন্স হিসাবে অপারেট করে ইন্ডিগো।
ভারতের এয়ারলাইন্স মার্কেটের প্রায় ৬৪ শতাংশ রয়েছে ইন্ডিগোর দখলে। তারপর ২৬.৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার দখলে। ৫ শতাংশ মানুষ চড়েন আকাসা এয়ারের বিমানে। এ ছাড়াও ২.৬ শতাংশ মার্কেট শেয়ার রয়েছে স্পাইস জেটের কাছে।
কিন্তু ইন্ডিগো কীভাবে নিজেদের ব্যবসা চালায় যাতে তারা লাভজনক থাকে? তথ্য বলছে, অন্যান্য সংস্থার বিমানের তুলনায় ১৫ থেকে ২০ মিনিট আগে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করে এই ভারতীয় এয়ারলাইন্স। আর হার্ভাডের একটি স্টাডি বলছে প্রতি ফ্লাইটে ১০ মিনিট সময় বাঁচালে সেই টাকায় বছরে প্রায় ২০০টি বাড়তি এরোপ্লেন চালাতে পারবে ইন্ডিগো। এই ভাবেই বছরে কোটি কোটি টাকা বাঁচিয়ে নেয় ইন্ডিগো।
এ ছাড়া আরও কয়েকটা কাজ করে তারা। ইন্ডিগো একমাত্র বিমান সংস্থা হিসাবে বিমানে ওভেন নিয়ে যায় না তারা। লক্ষ্য করলে দেখবেন ইন্ডিগোর বিমানে গরম করা খাবার পাওয়া যায় না। একটি বিমানে ৩টি ওভেন থাকে। আর একটি ওভেনের ওজন ২০ কেজি হলে প্রতি ফ্লাইটে প্রায় ৬০ কিলো ওজন কম নিয়ে ওড়ে। ফলে প্রতি ফ্লাইটে প্রায় ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা কম খরচ হয়। আর ৭ লক্ষ ফ্লাইটের জন্য বছরে ১৫০ কোটি থেকে ২০০ কোটি টাকা বাঁচিয়ে নেয়।
এ ছাড়াও ইন্ডিগো এমন এক এয়ারলাইন্স যারা সক্রিয়ভাবে মহিলা পাইলট নিয়োগ করছে। ইন্ডিগো লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে ২০২৫ সালের অগস্ট মাসের মধ্যে ১ হাজার মহিলা পাইলট তাদের সংস্থায় থাকবে। বর্তমানে ইন্ডিগোতে ১৪ শতাংশের বেশি মহিলা পাইলট রয়েছে। যা কি না গোটা পৃথিবীর গড় সংখ্যার তুলনায় বেশি। আর ইন্ডিগো কিছুটা ইচ্ছা করেই এমন করে বলা জানা গিয়েছে। কারণ, মেয়েদের তুলনায় পুরুষ পাইলটরা ওজনে বেশি হয় তাদের দৈহিক গঠনের কারণে। আর এভাবেই ওজন ম্যানেজ করে খরচ কমায় এই বিমান সংস্থা।