Finance Ministry on DeepSeek and ChatGPT: চ্যাট জিপিটির প্রতিষ্ঠাতার ভারত সফরের আগেই এআই ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা অর্থমন্ত্রকের, ডিপসিক ভীতি?
Artificial Intelligence: ২৯ জানুয়ারি অর্থমন্ত্রকের জারি করা অ্যাডভাইসরিতে বলা হয়েছে, অফিসের কম্পিউটার ও অন্যান্য ডিভাইসে চ্যাট জিপিটি বা ডিপসিকের মতো বিভিন্ন আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স টুলস ও অ্যাপসে ব্যবহার সরকারি নথির গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি করে।

চ্যাট জিপিটি নাকি চিনা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স সংস্থা ডিপসিক, কার ক্ষমতা বেশি তা নিয়ে একপ্রকার ঠান্ডা যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে বেশ কিছু দিনি হল। আর এর মধ্যেই আমাদের দেশের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক একটি নির্দেশ জারি করেছে সেখানে কর্মরত কর্মীদের প্রতি। তবে শুধুমাত্র ভারতই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা নয়। সাম্প্রতীক অতীতে এই একই ধরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া ও ইটালি।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সমস্ত কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে যে অফিসের কোনও কাজে চ্যাট জিপিটি বা ডিপসিকের মতো কোনও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার না করতে। কারণ এই ধরণের আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স টুল ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরণের সরকারি ও গোপন তথ্য অন্য দেশের কাছে চলে যাওয়ার ঝুঁকি অত্যন্ত বেড়ে যাবে। আগেই ডিপসিকের উপর এই ধরণের বিধিনিষেধ আরোপ করেছে অস্ট্রেলিয়া ও ইতালির সরকার।
বুধবার অর্থাৎ আজ ওপেন এআই-এর প্রতিষ্ঠাতা স্যাম অল্টম্যানের ভারত আসার কথা। জানা গিয়েছে, স্যাম অল্টম্যান ভারতে এসে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করবেন। আর তাঁর এই সফরের আগে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে চ্যাট জিপিটি বা ডিপসিকের মতো কোনও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপের কথা।
২৯ জানুয়ারি অর্থমন্ত্রকের জারি করা অ্যাডভাইসরিতে বলা হয়েছে, অফিসের কম্পিউটার ও অন্যান্য ডিভাইসে বিভিন্ন আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স টুলস ও অ্যাপসে ব্যবহার সরকারি নথির গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে ঝুঁকি তৈরি করে। এরপর এই বিষয়ে অর্থমন্ত্রক বা চ্যাট জিপিটির মালিক ওপেনও এআই বা ডিপসিক সরকারিভাবে কোনও বক্তব্য রাখেনি। তবে অর্থমন্ত্রকে কর্মরত ৩ কর্মীর বক্তব্য অনুযায়ী অভ্যন্তরীণভাবে এই অ্যাডভাইসরি সত্যিই জারি করা হয়েছে।





