
সময় যত যাচ্ছে ভারতে বাড়ছে কোটিপতির সংখ্যা। কিন্তু অন্য আরও একটি সূত্র কিন্তু বলছে, কোটিপতির সংখ্যা বাড়লেও তাদের ধনসম্পত্তি একটা নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশ হচ্ছে না। Mercedes-Benz Hurun India Wealth Report 2025 বলছে, ২০১৭ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে আমাদের দেশে হাই-নেট-ওয়ার্থ ইনডিভিজুয়াল বা HNI বেড়েছে ২০২%। অথচ, আলট্রা-হাই-নেট-ওয়ার্থ ইনডিভিজুয়াল বা UHNI-এর খাতায় নাম লেখাতে পেরেছে মাত্র ৫ শতাংশ। কেন বেশিরভাগ ধনী ব্যক্তি মাঝপথেই হারিয়ে যাচ্ছেন?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথম ধাপের সম্পদ তৈরি হয় শেয়ার বাজার, সোনা বা রিয়েল এস্টেটের মতো প্যাসিভ বিনিয়োগে। ২০২১ থেকে ২০২৫-এর মধ্যে নিফটি ফিফটি ১৪,৭০০ থেকে ২৪,০০০-এ পৌঁছে যাওয়ায় অনেকেই কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। কিন্তু তার বেশি রিটার্নের কথা যখনই কেউ ভাববে, তখনই খেলার মোড় ঘুরে যায়। কারণ, সেই সময় থেকেই সেই ব্যক্তিকে সক্রিয়ভাবে বিনিয়োগ শুরু করতে হবে।
কোটি টাকার মালিক থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক হওটার রাস্তা কিন্তু একেবারে সহজ নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের বৃদ্ধি প্রথমত Entrepreneurship বা কোনও উদ্যোগ। আর দ্বিতীয়ত, কোনও দ্রুত বর্ধনিশীল সেক্টরের শেয়ারে দুর্দান্ত ভরসা করে। অনেক ব্যক্তিই কিন্তু উদ্যোগপতি হয়েই এই জায়গায় আজ পৌঁছে গিয়েছেন।
সাধারণ মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে, কোটি টাকার সম্পদ তৈরি করা যায়। কিন্তু তার বেশি কিছু করতে গেলে ওই দুই রাস্তায় ভরসার জায়গা। রিনিউয়েবল এনার্জি, ডিপ টেক বা প্রতিরক্ষার মতো দ্রুত বর্ধনশীল সেক্টরের এমন কিছু সংস্থায় বিনিয়োগ করা যেতে পারে, যারা শেয়ার বাজারে নথিভুক্ত নয়। আর সেই সব সংস্থায় দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করতে হবে।
কোথাও বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করুন। এই লেখা শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে। TV9 বাংলা বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।