
গত পাঁচ বছরে ভারতের আর্থিক চিত্র সম্পূর্ণ রূপে বদলে গিয়েছে। ভারত হয়ে উঠেছে ডিজিটাল ইন্ডিয়া। সরকারের ধারাবাহিক সংস্কার, দ্রুত ডিজিটাল পরিকাঠামোয় নজর দেওয়া ও বিনিয়োগ নিয়ে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির কারণেই হু হু বদলেছে ভারতের এই আর্থিক চিত্র। বিষেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা বেড়েছে। ফিক্সড ডিপোজিটের মতো প্রথাগত সেভিংস ছেড়ে এখন তাঁরা সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান বা SIP-এর মাধ্যমে স্টক মার্কেটে সরাসরি বিনিয়োগ করছেন।
আর এর মধ্যে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বেড়েছে লাফিয়ে। ৫ বছর আগে এই সংখ্যাটা ছিল মাত্র ৪ কোটি। আর ২০২৫ সালের অগস্টের হিসাব বলছে ভারতে ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ কোটিতে। NSDL আর CDSL-এর এই তথ্যই বলছে, শেয়ার বাজারে সাধারণ মানুষের প্রবেশ কতটা বেড়েছে।
AMFI-এর রিপোর্ট অনুসারে, ২০২০ সালে এসআইপির মাধ্যমে মাসিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল গড়ে ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে এই টাকার অঙ্কটা পৌঁছে গিয়েছে ২৮ হাজার কোটিতে। অর্থাৎ, গত পাঁচ বছরে বিনিয়োগের অঙ্ক বেড়েছে চারগুণ। বেড়েছে গড় নেট ইক্যুইটি ফ্লোও। আগের ২২ হাজার কোটি টাকা থেকে তা বেড়ে হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
আর এই পরিবর্তনকে আরও গতি দিয়েছে একাধিক সরকারি নীতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করা এক খোলা চিঠিতে জানিয়েছেন, জিএসটি বা পণ্য ও পরিষেবা কর সংস্কার ও আয়কর ছাড়ের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ প্রায় ২ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মধ্যবিত্তের হাতে বিপুল শক্তি তুলে দিয়েছি। এখন বার্ষিক ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে শূন্য ট্যাক্সের সুবিধা রয়েছে। আয়কর এবং নেক্সট জেনারেশন জিএসটি সংস্কারের সম্মিলিত প্রভাবে নাগরিকদের জন্য প্রায় ২.৫ লাখ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে’। এই সাশ্রয়ের বড় অংশই এবার বাজারে আসতে চলেছে। আর এই টাকাই যা দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে নয়া জীবন দেবে।