Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বিনিয়োগ করে ভুলে গিয়েছিলেন, ২০২৪ সালে কোটিপতি বানিয়ে দিল এই শেয়ার

Share Market: ১৯৬০-৭০ এর দশকে ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে দুবাইয়ে কাজ করতে গিয়েছিলেন এক যুবক। সেই সময় তাঁর এক বন্ধু হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের শেয়ারে বিনিয়োগ করতে বলেন। প্রথমে একটু দোনামোনা করলেও, পরে বন্ধুর কথা শুনে হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের ১০০টি শেয়ার কেনেন।

বিনিয়োগ করে ভুলে গিয়েছিলেন, ২০২৪ সালে কোটিপতি বানিয়ে দিল এই শেয়ার
প্রতীকী চিত্রImage Credit source: TV9 বাংলা
Follow Us:
| Updated on: Apr 03, 2024 | 11:08 AM

মুম্বই: এক রাতেই বড়লোক হওয়া সম্ভব নয়, যদি না তা কোনও চমৎকার বা অসৎ পদ্ধতিতে হয়। ধৈর্য্য ধরে বিনিয়োগ করলে, ফল মেলেই। আপনি যদি নিয়মিত বিনিয়োগ করেন, তবে একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর শুধু জমা রাখা অর্থই নয়, রিটার্ন মেলে সুদেও। আর বিনিয়োগে এই ধৈর্য্য রেখেই লাভের ফল পেলেন ৮৫ বছরের এক বৃদ্ধ। কোটিপতি হয়ে গেলেন বহু বছর আগে করা বিনিয়োগ থেকে।

১৯৬০-৭০ এর দশকে ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে দুবাইয়ে কাজ করতে গিয়েছিলেন এক যুবক। সেই সময় তাঁর এক বন্ধু হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের শেয়ারে বিনিয়োগ করতে বলেন। প্রথমে একটু দোনামোনা করলেও, পরে বন্ধুর কথা শুনে হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের ১০০টি শেয়ার কেনেন। কয়েক বছর বাদে তিনি ভারতে ফিরে আসেন। বিদেশে থাকাকালীন যে বিনিয়োগ করেছিলেন, তা ভুলেই গিয়েছিলেন। ৮৫ বছর বয়সে এসে তিনি জানতে পারেন, ওই ১০০টি শেয়ার বেড়ে ৭০০০-এ পৌঁছেছে, যার বর্তমান শেয়ারমূল্য ২ কোটি টাকা।

হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের তরফেই বিবৃতি জারি করে এই ঘটনা জানানো হয়েছে। ওই ব্যক্তি যে হিন্দুস্তান ইউনিলিভারের এতগুলি শেয়ার কিনে রেখেছিলেন, সে সম্পর্কে তাঁর সন্তানরাও জানতেন না। বিনিয়োগের নথিও রয়ে গিয়েছে দুবাইয়ে। তাই নতুন শেয়ার সার্টিফিকেটও যেমন পাননি, তেমনই স্টকের দাম বাড়া বা ডিভিডেন্ড সম্পর্কেও কোনও খবর পাননি।

পরে ওই বৃদ্ধের পরিবারের উদ্যোগেই শেয়ারের ডুপ্লিকেট নথি বের করা হয়। বয়সের ভার ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে ওই ব্যক্তির সই-ও মিলছিল না। তবে ব্যাঙ্ক ও বিনিয়োগ করা সংস্থার উদ্যোগেই ২ কোটি টাকা হাতে পান ওই বৃদ্ধ ও তাঁর পরিবার। জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধ বিনিয়োগের এই টাকা দিয়ে একটি নতুন বাড়ি কিনতে চান। এছাড়া নিজের চিকিৎসার খরচ চালাতে চান, যাতে ছেলে-মেয়ের উপরে আর্থিক বোঝা তৈরি না হয়।