
নয়া দিল্লি: উৎসবের মরশুম শুরু। এই সময়ে হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে মিষ্টির দোকানেও ভিড় জমে। অনেকে নতুন দোকানও খোলে। তাই এবার সক্রিয় হয়েছে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (FSSAI)। খাদ্যপণ্যের মান ভাল রাখার জন্য বিশেষ তৎপর হয়েছে FSSAI। উৎসবের মরশুমের শুরুতেই মিষ্টি বিক্রেতাদের জন্য বিশেষ নির্দেশিকাও জারি করেছে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া।
কী নির্দেশিকা দিয়েছে FSSAI?
FSSAI-এর নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, খাদ্য সামগ্রীর কাঁচামালের নিরাপত্তা এবং গুণমান পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করতে হবে। খোলা জায়গায় মিষ্টি তৈরি করা এড়াতে হবে। এমনকি, মিষ্টি খোলা অবস্থায় রাখা যাবে না। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে মিষ্টি খোলা রাখার ক্ষেত্রেও ব্যবসায়ীদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
এছাড়া দুগ্ধজাত পণ্যে ভেজাল কাঁচামাল নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্যগুলিতে ভেজাল চেক করার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। খোয়া ক্ষীর, ঘি ও পনিরে ভেজাল মেশানোর প্রবল ঝুঁকি থাকে। তাই FSSAI লাইসেন্সপ্রাপ্ত বিক্রেতাদের কাছ থেকেই দুধ, খোয়া, ঘি, পনির ইত্যাদি দুগ্ধজাত দ্রব্য কেনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও ব্যবসায়ী FSSAI-এর নির্দেশিকা না মানলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মিষ্টি ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি অন্যান্য সকল খাদ্য ব্যবসায়ীর প্রতিও নির্দেশিকা জারি করেছে FSSAI। মূলত, খাদ্য সামগ্রীর গুণমানের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। যে কোনও খাবারের মান ও কাঁচামালের গুণমানের নিরাপত্তা সম্পর্কে ব্যবসায়ীদের সতর্ক থাকা বাঞ্ছনীয়। ভাজা জাতীয় খাবারের ক্ষেত্রে তেলের গুণাগুণ সম্পর্কে বিশেষ যত্ন নিতে হবে বলে FSSAI-এর নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মিষ্টি প্রস্তুতকারক এবং খাদ্য ব্যবসায়ী অপারেটরদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছে FSSAI কর্তৃপক্ষ। সেই বৈঠকেই মিষ্টি ব্যবসায়ী থেকে খাদ্য ব্যবসায়ীদের খাবারের গুণমান বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনেক সময়েই জিলিপি, সিঙাড়া থেকে শুরু করে চপ, পকোড়া, ঝালমুড়ি-সহ বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য সংবাদপত্রে মুড়ে দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে খাদ্যসামগ্রী দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সংবাদপত্রে খাবার মুড়ে দেওয়ার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে FSSAI।