রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় আন্তর্জাতিক বাজারে হু হু করে দাম বেড়েছিল অপরিশোধিত তেলের। তার ফলে দেশীয় বাজারেও পড়েছিল তার প্রভাব। একে মূল্যবৃদ্ধির কোপ তার উপর জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় নাজেহাল অবস্থা মধ্যবিত্তের। তবে পুজোর মরশুমে জ্বালানি তেলের দামের ক্ষেত্রে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে ফের তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। গত সাত মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে সর্বনিম্ন হয়েছে অপরিশোধিত তেলের দাম। তবে দেশীয় বাজারে এখনও তার প্রভাব দেখা যায়নি। এখনও লোকসানের ভারে জর্জরিত রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। তাই পুজোর আগে হয়ত পেট্রল বা ডিজেলের দাম কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। এই বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত তিন আধিকারিক সূত্রে এমনটা জানা গিয়েছে।
তবে দেশীয় বাজারে তেলের দামে নিয়ে সরকার আলোচনায় বসবে। আগামী সপ্তাহেই অপরিশোধিত তেল এবং পেট্রল, ডিজেলের মতো বিভিন্ন পেট্রোপণ্যের দাম নিয়ে পর্যালোচনা করবে সরকার। এদিকে বিশ্বে বাজারে বর্তমানে অপরিশোধিত তেলের দাম কমছে। তবে তেলের দাম বিশ্ব বাজারে এখনও স্থিতিশীল নয়। বুধবার অপরিশোধিত তেলের ব্যারেল প্রতি দাম ৮৮ ডলারে নেমে এসেছে। গত সাত মাসে যা সর্বনিম্ন। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণেই বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামে পতন বলে মনে করা হচ্ছে। চিনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে এবং পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে সুদের হারের পরিবর্তন হয়েছে। ফলে তেলের চাহিদায় এরকম পতন দেখা গিয়েছে। তবে এই চাহিদা হ্রাস ক্ষণস্থায়ী। শুক্রবারই আবার অপরিশোধিত তেলের দাম ৩ শতাংশ বেড়ে যায়। ব্যারেল প্রতি অপরিশোধিত তেলের দাম পৌঁছে যায় ৯২ ডলারে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিপণন সংস্থাগুলি এখনও ডিজেলে প্রতি লিটারে প্রায় ৫ থেকে ৬ টাকা ক্ষতি করছে। তবে পেট্রলের ক্ষেত্রে এরকম কোনও ক্ষতি হচ্ছে না। আসলে সংস্থাগুলি পেট্রলের ক্ষেত্রে প্রতি লিটারে ২ থেকে ৩ লিটার লাভ রয়েছে। এই আবহে ডিজেল ও পেট্রলের দাম কমার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানা যাচ্ছে।