
নয়া দিল্লি: সোনা কার না পছন্দ? শুধু বহুমূল্য গহনা হিসাবেই নয়, সোনা(Gold)-কে বরাবরই স্ত্রী ধন হিসাবে গণ্য করা হয়েছে, যা পরিবারে বিপদের সময় আর্থিক অনটন থেকে বাঁচায়। বর্তমানে সোনার যা চড়া দাম, তাতে অনেকেই সোনা কিনতে ভয় পাচ্ছেন। আবার অনেকেই সোনাকে বিনিয়োগের অপশন হিসাবে বেছে নিচ্ছেন। সোনায় বিনিয়োগের একাধিক অপশন রয়েছে, তবে সঠিকভাবে, ঠিক জায়গায় বিনিয়োগ না করলে লাভের বদলে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি।
বর্তমানে অনেকেই সোনাকে সুরক্ষিত ও আকর্ষণীয় বিনিয়োগের অপশন বলে মনে করেন। ফিজিক্যাল গোল্ড অর্থাৎ যে সোনা হাতে ধরা যায়, তার পাশাপাশি ডিজিটাল গোল্ড, সভেরেইন গোল্ড বন্ড, গোল্ড ইটিএফের মতো একাধিক অপশন রয়েছে।
আগে লোকজন সোনায় বিনিয়োগ বদলে বুঝতেন, সোনার গহনা কেনা, কিংবা সোনার বার বা কয়েন কেনা। এখন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ডিজিটাল গোল্ড, গোল্ড ইটিএফের মতো আধুনিক অপশন। তবে আপনি কোথায় বিনিয়োগ করবেন, তা বিচারবুদ্ধি দিয়ে বিবেচনা করে দেখা দরকার।
অনেকেই সোনায় বিনিয়োগ করতে পছন্দ করেন, কারণ এটা একদিকে যেমন পরা যায়, অন্যদিকে ভবিষ্যতের সঞ্চয়ও বটে। তবে এটা বিনিয়োগের সেরা অপশন নয় মোটেই, কারণ সোনার গহনায় অতিরিক্ত যোগ হয় মেকিং চার্জ, জিএসটি। পাশাপাশি সোনায় বিশুদ্ধতা কতটা, তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়। সোনার গহনা বিক্রি করতে গেলে, ওজনে এবং দামে যে কাটছাট করা হয়, তাতে লাভের বদলে ক্ষতিই হয় বেশি।
সোনার গহনার তুলনায় গোল্ড ইটিএফ বা সোনার বার কিংবা কয়েন অনেক ভাল বিনিয়োগের অপশন। এতে নিখাদ সোনা বা বিশুদ্ধ সোনা পাওয়া যায়, যা বিক্রি করা অনেক সহজ। দাম নিয়েও স্বচ্ছতা থাকে। বর্তমানে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সোনা কেনা আরও সহজ হয়ে উঠেছে। এই ডিজিটাল গোল্ড সংরক্ষণ করার ঝামেলাও নেই। বাড়ি থেকে সোনার গহনা চুরি যাওয়ার আশঙ্কা থাকলেও, ডিজিটাল গোল্ডের ক্ষেত্রে সেই ঝুঁকি থাকে না। ডিজিটাল গোল্ড কিনতে গেলে অতিরিক্ত কোনও জিএসটি দিতে হয় না।
যদি কেউ তাও ফিজিক্যাল গোল্ডই কিনতে চান বিনিয়োগের জন্য, তাহলে গহনার বদলে সোনার বার বা কয়েন কিনতে পারেন কারণ এতে বিশুদ্ধ সোনা থাকে।