
নয়াদিল্লি: নতুন বছরের শুরু থেকে সোনায় হাত দিতে গিয়ে কাল-ঘাম ছুটছে মধ্যবিত্তের। বছরের একদম প্রথম দিন থেকেই ঝাঁকুনি দিয়েছে সোনা। চড়চড়িয়ে বাড়ছে দাম। যার বিয়ের মরসুমের মাঝে কার্যত মাথায় হাত পড়ে গিয়েছিল সাধারণের।ইতিমধ্যেই, ৮০ হাজারের অধিক পেরিয়ে গিয়েছে পাকা সোনার দাম। বছরের শুরুতেই এমন কাণ্ড দেখে, আশঙ্কার মেঘ তৈরি হয়েছে সাধারণের জীবনে।
সামনেই আবার বাজেট। ফলত সেই বাজেট ঘিরে তো প্রত্যাশার শেষ নেই। দিন পেরলেই দেশের আয়-ব্যয়ের তালিকা তুলে ধরবেন অর্থমন্ত্রী। ফলত, সোনার দাম কমা নিয়ে মধ্যবিত্তের মনে যে প্রত্যাশা তৈরি হয়নি, এমনটাও নয়। এবার প্রশ্ন মধ্যবিত্তের সেই প্রত্যাশা করবেন নির্মলা? সেটা সম্পূর্ণ বিতর্ক সাপেক্ষ। কিন্তু গত অর্থবর্ষের বাজেটে মধ্যবিত্ত না চাইতেই সোনার দাম কমাতে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তিনি। কাস্টম ডিউটি ৬ শতাংশ ছাড়ের ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী।
সূত্রের খবর, চলতি বছরেও সোনার দাম কমাতে পরোক্ষ ভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারেন অর্থমন্ত্রী। শুল্কে ছাড় না মিললেও সাধারণের হাতের মুঠোয় সোনাকে আনতে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে পারেন তিনি। তবে এটা এখন পুরোটা অনুমান। বাস্তবে কমেনি সোনার দাম। কিন্তু তারপরেও নেই কোনও ভয়। ছাড়ের আশ্বাস এখনও অধরা হলেও, বিশ্ব বাজারে যে সোনার দাম কমতে পারে এমনটাই দাবি করছে কেন্দ্র।
এদিন সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্ট জমা দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। খানিক পরেই সেই রিপোর্ট প্রকাশ করে কেন্দ্র। মূলত, গত অর্থবর্ষে কী হল, কী হল না, আর আসন্ন অর্থবর্ষে কতটা হতে পারে, এই সব বিষয়গুলিকেই তুলে ধরা হয় এই রিপোর্টে। সেই রিপোর্টেই জায়গা পেল সোনার দর। অনুমান, বিশ্ববাজারে কমতে পারে দর। কিন্তু কীভাবে?
ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের কমোডিটি মার্কেটের তথ্যকে তুলে ধরে প্রকাশিত আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্টে লেখা হয়েছে যে ২০২৫ সালে কমতে পারে একাধিক পণ্যের দাম। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, একাধারে তেলের দাম কমবে, কিন্তু অন্যদিকে, দাম বাড়বে প্রাকৃতিক গ্যাসের।
শুধু তেল নয়। কমতে পারে সোনার দামও। কিন্তু অন্যদিকে, চড়চড়িয়ে বৃদ্ধি দেখা যাবে রুপোর দরে। মূলত, বিশ্বজুড়ে আয়রন ও জিঙ্কের দাম কমার জেরেই প্রভাব পড়বে সোনার দামে। আর বিশ্বে যদি একবার সোনার দর পড়ে তবে ভারতেও তা পড়তে বাধ্য। তাই আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্ট যে মধ্যবিত্তের জন্য অন্ধকারের মধ্যে এক টুকরো আলো সেই নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই।