নয়া দিল্লি: রাখি উৎসবের মধ্য দিয়েই বলা যায় শুরু হয়ে গিয়েছে উৎসবের মরশুম (Festive season)। কেননা অবাঙালিদের কাছে রাখিবন্ধন বড় উৎসব। এই উৎসবে বোনেরা ভাইয়ের হাতে রাখি বেঁধে দেয় এবং ভাইয়েরা বোনেদের জন্য বিশেষ উপহার কেনে। ফলে সোনার চাহিদা বাড়ে। তারপর গণেশ চতুর্থী থেকে পুরোদমে উৎসবের মেজাজ শুরু। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর দেশজুড়ে মহা আড়ম্বরের সঙ্গে উদযাপিত হবে এই উৎসব। এরপরই আসবে দুর্গাপূজা ও দীপাবলি। এই সমস্ত উৎসবের সময় মানুষ ব্যাপকভাবে সোনা কেনে। স্বাভাবিকভাবেই চাহিদা বাড়ায় উৎসবের মরশুমে সোনার দাম (Gold price) বাড়ে। এবারেও যে তার ব্যতিক্রম হবে না তা বলা বাহুল্য। সোনার দাম ৬৫ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পরে এবং বছরের শেষ পর্যন্ত সেই দাম থাকবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে এখন সোনা কিনে রাখলে ডিসেম্বর পর্যন্ত ভালো রিটার্ন পাওয়া যাবে। যা স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের জন্য খুশির খবর।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গত চার মাসে সোনার দাম কমেছে। ফলে সোনার গয়না সস্তা হয়েছে। তবে গণেশ চতুর্থীর পর পিক ফেস্টিভ্যাল সিজন শুরু হলেই বাজারে সোনার চাহিদা বাড়বে। ফলে সোনার দামও বাড়বে বলে তাঁদের অনুমান। কেডিয়া অ্যাডভাইজরির ডিরেক্টর অজয় কেডিয়ার মতে, গত মে থেকে এখনও পর্যন্ত সোনার দাম ২,৬০০ টাকার বেশি কমেছে। তবে উৎসবের মরশুমে দাম বাড়তে পারে।
১০ গ্রাম সোনার দাম ৬৫ হাজার টাকায় পৌঁছতে পারে
৫ সেপ্টেম্বর ২৪ ক্যারেট সোনার ১০ গ্রামের দাম দিল্লিতে ছিল ৫৯,৯৯০ টাকা। যেখানে চার মাস আগে ১০ গ্রাম সোনার দাম উঠেছিল ৬২ হাজার টাকায়। সুতরাং উৎসবের মরশুমে সোনার দাম ১০ শতাংশ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন অজয় কেডিয়া। ফলে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৬৬ হাজার টাকা পর্যন্ত উঠতে পারে।
সোনার চাহিদা বাড়বে
অজয় কেডিয়ার মতে, গণেশ চতুর্থী থেকেই উৎসবের মরশুম শুরু হয়। তবে বেশিরভাগ উৎসবই হয় অক্টোবর-নভেম্বর মাসে। দুর্গাপুজো, ধনতেরাস এবং দীপাবলির মতো উৎসবগুলি সারা দেশে উদযাপিত হয়। বিশেষ করে ধনতেরাসে, সারা দেশের মানুষ গয়না এবং সোনা কেনেন। বাজারে চাহিদা বাড়লে দাম বেড়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। এছাড়া মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির কারণে লোকেরা সোনার মতো জিনিসে আরও বেশি বিনিয়োগ করে। ফলে সোনার চাহিদা বাড়বে এবং দাম বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এসজিবি দিয়েছিল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। এই প্রকল্পে ১০ গ্রাম সোনা ৫৯,৯৯০ টাকা দরে বিক্রি করেছিল আরবিআই। ফলে যাঁরা এই সময়ে সোনা কিনে রেখেছেন, উৎসবের মরশুমে দাম বাড়লে তাঁরা লাভবান হবেন।