
নয়া দিল্লি: সোনা শুধুমাত্র নারীর সৌন্দর্য্যই বাড়ায় না, তা ভবিষ্যতের সঞ্চয়ও। বিপদের দিনে আর্থিক সঙ্কট থেকেও মুক্তির পথ খুঁজে দেয় এই মূল্যবান সম্পদ। বর্তমানে সোনার দাম প্রায় লাখ টাকার কাছাকাছি। মধ্যবিত্তের সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে সোনা। তবে বিয়ে বা অন্য কোনও শুভ অনুষ্ঠানে সোনা কিনতেই হয়। সোনা কিনতে হবে, কিন্তু আসল সোনা কিনবেন কী করে? দোকানিদের চালাকিতে আপনিও ঠকছেন না তো? সোনা কেনার আগে তা আসল কি না, তা যাচাই করে নিন এইভাবে-
আসল সোনা চেনার সবথেকে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হল বিআইএস মার্ক যাচাই। ২০২১ সাল থেকেই সোনার গহনায় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে হলমার্ক। এই চিহ্ন ছাড়া বর্তমানে কোনও সোনার গহনা বিক্রি করা যায় না। আসল সোনায় এই চিহ্ন অর্থাৎ হলমার্ক থাকা বাধ্যতামূলক।
সোনায় ২৪ ক্যারেট, ২২ ক্যারেট, ১৮ ক্যারেট, ১৪ ক্যারেট হয়। এই ক্যারেটের হিসাব অনেকেই বুঝতে পারেন না। আসলে ক্যারেট সোনার বিশুদ্ধতাকে চিহ্নিত করে। ২৪ ক্যারেটের সোনা ৯৯.৯ শতাংশ শুদ্ধ। তবে তা দিয়ে সোনার গহনা তৈরি করা যায় না। মূলত সোনার কয়েন বা বার হিসাবেই ২৪ ক্যারেটের সোনা ব্যবহার হয়।
২২ ক্যারেটের সোনায় বিশুদ্ধতা হয় ৯১.৬ শতাংশ। বাকি রুপো বা তামা মেশানো হয় খাদ হিসাবে। মূলত সোনার গহনা ২২ ক্যারেটের সোনা দিয়ে তৈরি হয়।
১৮ ক্যারেটের সোনায় ৭৫ শতাংশ বিশুদ্ধ সোনা থাকে। বাকি ২৫ শতাংশে রুপো, তামা বা জিঙ্ক থাকে।
১৪ ক্য়ারেটের সোনায় ৫৮.৩৩ শতাংশ বিশুদ্ধ সোনা থাকে। বাকি অংশে খাদ মেশানো থাকে।
কীভাবে যাচাই করবেন আপনার কেনা সোনা আসল কি না-
যদি আপনার কেনা সোনা নিয়ে অনিশ্চিত থাকেন, তাহলে বাড়িতে বসেই আপনি সহজ কিছু পদ্ধতিতে সোনা আসল কি না, তা যাচাই করে নিতে পারেন।
ভিনিগার টেস্ট- সোনার উপরে এক ফোটা ভিনিগার দিন। যদি আসল সোনা হয়, তাহলে তার রঙে কোনও পরিবর্তন আসবে না। যদি নকল সোনা হয়, তবে সোনার রঙ বদলে যাবে, তা কালচে হয়ে যাবে।
জলের মধ্য পরীক্ষা- এক বাটি জল নিয়ে তাতেও সোনা আসল-নকল যাচাই করা যেতে পারে। আসল সোনা হলে তা সঙ্গে সঙ্গে ডুবে যাবে। সেখানেই নকল সোনা সহজে ডোবে না, যদি তার মধ্যে কোনও পাথরের কাজ করা থাকে, তাহলে তা অবশ্য ডুবে যাবে।
সেরামিক টেস্ট- যদি গ্লেজ ছাড়া টাইলসে সোনা ঘষেন এবং তাতে সোনালি দাগ দেখা যায়, তাহলে বুঝবেন তা আসল সোনা। যদি কালো দাগ আসে, তাহলে তা নকল সোনা।
ম্যাগনেট টেস্ট- আসল সোনা কখনও চুম্বকে আটকায় না। নকল সোনায় অনেক ধাতু দিয়ে খাদ মেশানো থাকে, তাই তা অনেক সময় ম্যাগনেট বা চুম্বকে আটকে যায়।
বাইট টেস্ট- আসল সোনা খুব নরম হয়। আপনি যদি হালকা কামড়ও দেন, তাতে দাগ হয়ে যায়। সেখানেই নকল সোনা তুলনামূলকভাবে শক্ত হয়।