
নয়া দিল্লি: বিগত কয়েক বছরে সোনার যে হারে দাম বেড়েছে, তাতে মধ্যবিত্তের ঘটি-বাটি বেচার জো হয়েছে। শুধু এক বছরেই ৫০ শতাংশের বেশি দাম বেড়েছে। ধনতেরাসের পর সামান্য সোনার দাম (Gold Price) কমতেই বেশ খুশি হয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। দোকানে বিক্রি-বাট্টাও বেড়েছিল। তবে সোনার দামে যে বিশাল পতন হয়েছে, তা নয়। কবে দাম কমবে, সেই আশাতে অনেকেই এখনও বসে রয়েছেন। এবার সোনার দাম নিয়েই এল বড় আপডেট। হলুদ ধাতু হয়ে যেতে পারে অনেকটাই সস্তা।
কেন্দ্রীয় সরকার সোনার দাম নিয়ন্ত্রণ করতে এক বড় পদক্ষেপ করেছে। কমিয়ে দিয়েছে সোনা ও রুপোর বেস ইমপোর্ট প্রাইজ। অর্থাৎ আমদানি মূল্য কমানো হয়েছে। সোনার বেস আমদানি মূল্য ধার্য করা হয়েছে প্রতি ১০ গ্রামে ৪২ ডলার এবং রুপোর মূল্য ধার্য করা হয়েছে প্রতি কেজিতে ১০৭ ডলার।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে অন্তর্দেশীয় বাণিজ্য় বাড়াতে এবং সোনার দাম নিয়ন্ত্রণ করতে। এতে সোনার দাম বেশ কিছুটা কমবে বলেই আশাবাদী সকলে। একধাক্কায় কয়েক হাজার টাকা কমতে পারে সোনার দাম।
আমদানি করা কোনও পণ্যে কাস্টম শুল্ক হিসাব করতেই বেস প্রাইজ বা মূল্য ব্যবহার করা হয়। প্রতি ১৫ দিন অন্তর এই বেস ইমপোর্ট প্রাইজ আপডেট করা হয়। বেস প্রাইজ কমানোয়, সোনা আমদানি করার উপরে করের বোঝা অনেকটা কমবে। এর প্রভাব সোনার বাজারেও পড়বে। সোনার দর কমলে গহনাও সস্তা হবে।
প্রসঙ্গত, ভারত বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম সোনা আমদানিকারক। চিন সবথেকে বেশি সোনা আমদানি করে গোটা বিশ্বে। রুপো আমদানির ক্ষেত্রেও শীর্ষে রয়েছে ভারত।
রিপোর্ট অনুযায়ী, সুইৎজ়ারল্যান্ড থেকে ভারত সবথেকে বেশি সোনা আমদানি করে। মোট আমদানি করা সোনার ৪০ শতাংশই সুইৎজ়ারল্যান্ড থেকে আসে। ১৬ শতাংশ সোনা আসে মধ্য প্রাচ্য থেকে। ১০ শতাংশ সোনা আমদানি করা হয় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। ২০২৩-২৪ সালে ভারত ৪৮টি দেশ থেকে সোনা আমদানি করেছিল। ২০২৪-২৫ সালে ২৭.৩ শতাংশ সোনা আমদানি বাড়ে।