
নয়া দিল্লি: অস্তিত্ব সঙ্কটে দেশের পাবলিক সেক্টর ব্য়াঙ্কগুলির। বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলির একত্রীকরণ নিয়ে ফের একবার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে কেন্দ্র। ২০৪৭ সালের মধ্যে বিকশিত ভারত গড়ার লক্ষ্যে দেশের ব্যাঙ্কগুলিকে আরও বড় করার পরিকল্পনা। সেই কারণেই সরকার ফের একবার হাত দেবে পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলিতে।
গত মাসেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছিলেন যে ভারতের একাধিক বড় ও বিশ্বমানের ব্যাঙ্কের প্রয়োজন। তখনই আন্দাজ করা হয়েছিল যে সরকার হয়তো ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্ক একত্রীকরণের কাজ শুরু করে দিয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক (Indian Overseas Bank), সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (Central Bank of India), ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (Bank of India), ব্যাঙ্ক অব মহারাষ্ট্রের (Bank of Maharashtra) মতো ছোট যে ব্যাঙ্কগুলি রয়েছে, সেগুলিকে দেশের বড় ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হবে। স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (State Bank of India), পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (Punjab National Bank) ও ব্যাঙ্ক অব বরোদা (Bank of Baroda)-র মতো বড় বড় ব্যাঙ্কে এই ছোট ব্যাঙ্কগুলি মিলিয়ে দেওয়া হতে পারে।
বর্তমানে দেশে ১২টি পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্ক রয়েছে। একমাত্র স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া সম্পত্তির নিরিখে বিশ্বের সেরা ৫০ ব্যাঙ্কের তালিকায় ৪৩ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে। বেসরকারি ব্যাঙ্ক হিসাবে এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক ৭৩ নম্বরে স্থান পেয়েছে। তবে সরকার চাইছে, দেশের ব্যাঙ্কগুলির আরও উন্নতি করতে। আর সেই কারণেই একত্রীকরণের ভাবনাচিন্তা।
ব্যাঙ্ক মার্জার-
আগেও ব্যাঙ্ক একত্রীকরণ বা মার্জার হয়েছে। ২০১৯ সালের অগস্ট মাসে মেগা-মার্জারের ঘোষণা করা হয়েছিল। ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে সেটি কার্যকর হয়। ২৭টি ব্যাঙ্ক-কে একত্রীকরণ করে ১২টি ব্য়াঙ্ক করা হয়।
ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া এবং ওরিয়েন্ট ব্যাঙ্ক অব কমার্সকে মিলিয়ে দেওয়া হয় পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের সঙ্গে।
সিন্ডিকেট ব্যাঙ্ক মিলে যায় কানাড়া ব্যাঙ্কের সঙ্গে। এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক মিলে যায় ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের সঙ্গে। অন্ধ্র ব্যাঙ্ক ও কর্পোরেশন ব্যাঙ্ক-কে একসঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হয় ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে। দেনা ব্যাঙ্ক ও বিজয় ব্যাঙ্ক মিলে যায় ব্যাঙ্ক অব বরোদার সঙ্গে।
তার আগে ২০০৮ সালে স্টেট ব্যাঙ্ক অব সৌরাষ্ট্র মিশে যায় এসবিআই-তে। ২০১০ সালে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্দোরও এসবিআই-র অংশ হয়ে যায়।