
শতাধিক যুদ্ধবিমান নির্মাণের বরাত পেয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাতা হ্যাল বা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড। আর এর মধ্যেই তেজসের ইঞ্জিন পাঠানো শুরু করে দিয়েছে আমেরিকান সংস্থা জেনারেল ইলেকট্রিক। ইতিমধ্যেই তৃতীয় জিই-৪০৪ ইঞ্জিন চলেও এসেছে ভারতে। এই মাসে আরও একটি ইঞ্জিন চলে আসার কথা দেশে। তারপরই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আগামীতে সঠিক সময়েই হয়তো বহু প্রতীক্ষিত তেজস হাতে পাবে ভারতীয় বায়ুসেনা।
প্রয়োজনীয় ইঞ্জিনের অভাবে অনেকদিন ধরেই আটকে ছিল লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট তেজসের উৎপাদন। হ্যালের নাসিকের কারখানা থেকে এখনও প্রথম বিমানটিও ডেলিভারি করা সম্ভব হয়নি। তবে, আশা করা হচ্ছে জেনারেল ইলেকট্রিক সময়মতো এবার ইঞ্জিন ডেলিভারি শুরু করলে আগামীতে দ্রুতই তেজস যুদ্ধবিমান সরবরাহ করতে পারবে হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড।
হ্যালের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ডিকে সুনীল বলছেন ইতিমধ্যেই ৬টি বিমান তৈরি হয়ে গিয়েছে। হ্যালের হাতে থাকা ইঞ্জিন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই বিমানগুলোয় লাগিয়ে পরীক্ষামূলক উড়ান শুরু হয়ে গিয়েছে। চলতি অর্থবর্ষে জেনারেল ইলেকট্রিক মোট ১২টি ইঞ্জিন পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
নাসিকের নয়া এই প্ল্যান্টে বছরে ৮টি তেজস তৈরি করতে পারে হ্যাল। এ ছাড়াও বেঙ্গালুরুর ২টি কারখানা মিলিয়ে বছরে অন্তত ৩০টি যুদ্ধবিমান তৈরি করার লক্ষ্য নিয়েছে এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা। আর সেই কাজে দ্রুতগতি নিয়ে আসার জন্য তারা একাধিক বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। ভেম টেকনোলজিস, আলফা ও এল অ্যান্ড টিকে যন্ত্রাংশ তৈরি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বায়ুসেনা ২০২১ সালে হ্যলকে ৮৩টি তেজস তৈরির জন্য প্রায় ৪৬ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকার বরাত দিয়েছিল। কথা ছিল ৩ বছরের মধ্যে ওই বিমানের ডেলিভারি শুরু হবে। যদিও এখনও একটিও বিমান হাতে পায়নি ভারতিয় বায়ুসেনা। তারপর এই চলতি বছরে আরও ৬২ হাজার কোটিতে ৯৭টি তেজসের বরাত পায় হ্যাল। তবে নতুন ইঞ্জিন আসা শুরু হওয়ায় বিশেষজ্ঞ মহল আশা করছে তেজস তৈরিতে গতি বাড়বে ও একই সঙ্গে বৃদ্ধি পাবে আমাদের দেশের বায়ুসেনার শক্তিও।