
ধরুন আপনি সদ্য অ্যামাজন বা ফ্লিপকার্ট বা কোনও ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে কোনও ফোন বা ল্যাপটপ কিনেছেন। খুশি খুশি রয়েছে আপনার মন। আর আপনি খুশি মনে অফিসে বসে কাজ করছেন বা ছুটির দিনে দুপুরে কিছু খেয়ে দেয়ে একটু গড়িয়ে নিচ্ছেন বিছানায়। তখনই হঠাৎ করে আপনার কাছে একটা ফোন এল। ওপার থেকে প্রশ্ন এল যে জিনিস কিনেছেন, তা ঠিক আছে কি না? কাস্টমার রিভিউ রিলেটেড কল ভেবে আপনি কথা বললেন। এবার যিনি কথা বলছিলেন আপনার সঙ্গে আপনাকে বলল ওই ই-কমার্স সাইটের তরফ থেকে আপনাকে ২০ শতাংশ ছাড়া দেওয়া হবে। একটা লিঙ্ক তারা পাঠাচ্ছে, সেই লিঙ্ক খুলে সেখানে রেজিস্টার করলেই হল।
আর এখানেই স্ক্যামের শুরু। আপনি খুশি খুশি মনে রয়েছেন। ফলে, আপনাকে যে স্ক্যাম করা হচ্ছে, সেটা বুঝতেই আপনার অনেকটা সময় লেগে যেতে পারে। রেজিস্টার করার পরই হয়তো আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে হাওয়া হয়ে গেল হাজার হাজার টাকা।
এটাকেই বলা হচ্ছে ডেলিভারি বক্স স্ক্যাম। আর এই স্ক্যাম থেকে কীভাবে বাঁচবেন আপনি? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোনও ডেলিভারি এলে সেই প্যাকেট ফেলে দেওয়ার আগে তার উপরের যে স্টিকার তা তুলে দিন বা কালো মার্কার দিয়ে ঢেকে দিন যাতে আপনার কোনও ডিটেল যেন দেখা না যায়। কোনও অচেনা নম্বর থেকে ডিসকাউন্টের ফোন এলে সেই ফোন ধরা থেকে বিরত থাকুন।
এ ছাড়াও কোনও লিঙ্ক এলেই সেই লিঙ্কে ক্লিক করবেন না। সবার আগে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বা অ্যাপে চেক করুন যে এমন কোনও ডিসকাউন্ট রয়েছে কি না। এ ছাড়াও বাড়ির বদলে অফিসে ডেলিভারি নিলে সমস্যা কিছুটা কমতে পারে। বা পুরো নামের বদলে নামের প্রথম অক্ষর ব্যবহার করা যেতে পারে।
এই ধরণের স্ক্যাম থেকে বাঁচতে প্যাকেজিং বক্স বা প্যাকেট তৎক্ষনাৎ না ফেলে কিছু সময় পরেও ফেলে দেওয়া যেতে পারে। আর এমন স্ক্যামারদের ফোন এলে সবার আগে ১৯৩০-এ ফোন করে বা cybercrime.gov.in ওয়েবসাইটে অভিযোগ করতে ভুলবেন না।