আহমেদাবাদ: সম্প্রতি গুজরাটের জামনগরে ভিড় জমিয়েছিলেন গৌতম আদানি, বিল গেটস, মার্ক জুকারবার্গ, সুনীল মিত্তল, আনন্দ মাহিন্দ্রাদের মতো বিশ্বের বেশ কিছু ধনকুবের। উদ্দেশ্য, অনন্ত অম্বানি এবং রাধিকা মার্চেন্টের প্রাক-বিবাহ উৎসবের অনুষ্ঠান। অনন্ত অম্বানির বাবা, মুকেশ অম্বানি, শুধু দেশের ধনীতম ব্যক্তিই নন, এশিয়ারও সবথেকে ধনী ব্যক্তি। অম্বানি পরিবারের ছোট ছেলের প্রাক বিবাহ অনুষ্ঠানে শুধু ধনকুবেররাই নন, দেখা গিয়েছে বলিউড সেলিব্রিটি, তারকা ক্রিকেটার, রাজনীতিবিদদেরও। চর্চা হয়েছে অনন্ত আম্বানির অতি-দামি ঘড়ি, পোশাক এবং গাড়ি নিয়ে। অনন্তর ঘড়ি তো মার্ক জুকারবার্গের স্ত্রীরও নজর কেড়েছে। এহেন অনন্ত অম্বানিকে স্কুলে পড়াকালীন ‘ভিখারি’ বলে খেপাত তাঁর সবপাঠীরা।
মুকেশ অম্বানির মালিকানাধীন ধীরুভাই অম্বানি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলেই পড়তেন অনন্ত অম্বানি। সেখানে, ভারতের ধনীতম পরিবারের ছোট ছেলেকে, তাঁর স্কুলের বন্ধুরা প্রায়ই বলত, “তু অম্বানি হ্যায় ইয়া ভিখারি (তুই অম্বানি না ভিখারি)!” কারণ তিনি পকেট মানি হিসেবে মাত্র ৫ টাকা পেতেন। এক পুরানো সাক্ষাত্কারে, নীতা অম্বানি জানিয়েছিলেন, শুধু অনন্ত নয়, তার অপর দুই সন্তান, আকাশ এবং ইশারও প্রতি সপ্তাহে পকেট মানি হিসেবে বরাদ্দ ছিল ৫ টাকাই। কারণ, অম্বানিরা চেয়েছিলেন, তাঁদের সন্তানরা ছোট থেকেই টাকার মূল্য বুঝতে শিখুক। আর, স্কুলের ক্যান্টিনে গিয়ে পকেট থেকে মাত্র ৫ টাকা বের করার জন্যই অনন্ত অম্বানিকে উপহাস করা হত।
মুকেশ অম্বানি এবং নীতা অম্বানিকে এসে অনন্ত এই কথা জানিয়েছিলেন। ছেলের কথা শুনে হাসিতে ফেটে পড়েছিলেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, ভারতের সবচেয়ে ধনী পরিবারের সদস্য হওয়া সত্ত্বেও, ইশা অম্বানি, আকাশ অম্বানি এবং অনন্ত অম্বানি, তাদের নম্র আচরণের জন্য পরিচিত। স্কুলের পড়া শেষ করে অনন্ত অম্বানি ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গিয়েছিলেন উচ্চশিক্ষা নিতে। এখন তিনি রিলায়েন্স ০২সি এবং রিলায়েন্স নিউ সোলার এনার্জি সংস্থার ডিরেক্টর। বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে অনন্তর মোট সম্পদের পরিমাণ ৪০০০ কোটি ডলারেরও বেশি।