
ইলন মাস্কের ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডকারী সংস্থা স্টারলিঙ্ক এবার তাদের সার্ভিসে নিয়ে এসেছে বিশাল গতি। জানুয়ারি থেকে গ্লোবাল নেটওয়ার্কে ডাউনলোড এবং আপলোড স্পিড প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। স্টারলিঙ্ক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল নিকোলস নিজেই ট্যুইট করে জানিয়েছেন এই স্পিডে এই বৃদ্ধির কথা। কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, এই গতি কি ভারতেও আসবে? এবং কবে নাগাদ?
প্রকৃতপক্ষে, স্টারলিঙ্কের গ্লোবাল স্পিড এখন ১৪০ থেকে ১৬০ Mbps থেকে বেড়ে ২১০ থেকে ২২০ Mbps হয়েছে। আপলোডের গতিও ২০ Mbps থেকে ৩০ Mbps হয়েছে। এই গতি বেড়েছে মূলত লো-লেভেল সফটওয়্যার এবং নতুন স্যাটেলাইটের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে।
কিন্তু এতে ভারতের জন্য বড় খবর কী? আসলে স্টারলিঙ্কের ভারতের মাটিতে পা রাখার ব্যাপারটা একেবারে চূড়ান্ত পর্যায়ে। লাইসেন্স হাতে এলেও, ৩০ ও ৩১ অক্টোবর মুম্বাইয়ে সিকিউরিটি ও টেকনিক্যাল ডেমো দিতে চলেছে স্টারলিঙ্ক। এই ডেমো শেষ হলে তবেই বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু করার সবুজ সংকেত মিলবে।
দেশের একাধিক শহরে মোট ৯টি গেটওয়ে আর্থ স্টেশন তৈরি করছে স্টারলিঙ্ক। এই তালিকায় কলকাতাও রয়েছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যন্ত অঞ্চলও উচ্চ গতির ইন্টারনেট পেতে পারে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, সরকার ফাইবার, মোবাইল এবং স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনের মিশ্রণ চায়। কিন্তু TRAI-এর পক্ষ থেকে স্যাটেলাইট স্পেকট্রামের দাম ঠিক না হলে চূড়ান্ত পরিষেবা শুরু হবে না।
প্রাথমিক তথ্য বলছে, ভারতে স্টারলিঙ্কের স্ট্যান্ডার্ড কিট কিনতে আপনার খরচ হতে পারে প্রায় ৩৩ হাজার টাকা। মাসিক খরচ হতে পারে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকার আশেপাশে। স্পিড থাকতে পারে ২৫ Mbps থেকে ২২৫ Mbps-এর মধ্যে। মুকেশ আম্বানির জিও এবং ওয়ানওয়েবের মতো সংস্থাগুলির সঙ্গে টক্কর দিতে স্টারলিঙ্কের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। সব ঠিক থাকলে, আগামী বছরের প্রথম দিকেই ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে যাবে ইলন মাস্কের আকাশছোঁয়া ইন্টারনেট।