নয়া দিল্লি: হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে আমেরিকার সিলিকন ভ্য়ালি ব্য়াঙ্ক। মাথায় হাত পড়েছে লক্ষাধিক আমানতকারী থেকে বিনিয়োগকারীদের। সম্পত্তির হিসাবে এই ব্যাঙ্ক আমেরিকার ১৬ তম বৃহত্তম ব্যাঙ্ক ছিল। আর্থিক মন্দা, শেয়ার বন্ডের দামে পতন, চরম আর্থিক ক্ষতির মতো নানা কারণে দেউলিয়া হয়ে যায় সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক। ২০০৮ সালের পর আমেরিকার ইতিহাসে এটাই সবথেকে বড় ব্যর্থতা বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, সিলিকন ভ্য়ালির মতো বড় ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরই প্রশ্ন উঠছে যে ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলিরও যদি একই পরিস্থিতি হয়? বর্তমানে দেশের অধিকাংশ ব্যাঙ্কেরই বেহাল দশা। যদি আপনার ব্যাঙ্কও হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে আপনার জমা রাখা অর্থের কী হবে?
যদি হঠাৎ করে ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে যায়, তবে আপনি জমা রাখা কত টাকা তুলতে পারবেন, জানেন? ২০২১ সালের সরকারের তরফে এক নিয়ম চালু করা হয়। কিন্তু পরে ২০২২ সালে সেই নিয়ম পরিবর্তন করা হয়। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাঙ্কে জমা রাখা টাকার সীমা বা সাম লিমিট ১ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। ২৮ বছর বাদে এই টাকা তোলার সীমা বাড়ানো হয়েছে। ডিপোজিট ইন্সুরেন্স হল এক ধরনের প্রকল্প বা স্কিম, যেখানে যদি কোনও ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, তবে গ্রাহকদের সর্বাধিক ৫ লক্ষ টাকা অবধি গচ্ছিত অর্থ সুরক্ষিত রাখা হবে।
যদি ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হয়ে যায় বা কোনও কারণে ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ো যায়, তবে গ্রাহকদের ব্যাঙ্কের লিকুইডেশন প্রক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। তার আগেই তারা জমা রাখা টাকা দাবি করতে পারেন। ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা ডিআইসিজিসি আইনের অধীনে জমা রাখা টাকা দাবি করতে পারেন।
ডিআইসিজিসি আইন ১৯৬১-র ১৬(১) ধারার অধীনে যদি কোনও ব্যাঙ্ক দেউলিয়া বা বন্ধ হয়ে যায়, তবে ডিআইসিজিসি গ্রাহকদের টাকা দিতে বাধ্য। গ্রাহকের জমা রাখা অর্থের উপরে সর্বাধিক ৫ লক্ষ টাকা অবধি ইন্সুরেন্স বা বিমা থাকে। অর্থাৎ ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হয়ে গেলে সর্বাধিক ৫ লক্ষ টাকা অবধি অর্থ ফেরত পাবেন।
বহু গ্রাহকেরই একই ব্যাঙ্কে দুটি অ্যাকাউন্ট থাকে। জিআঅসিজিসি-র নিয়ম অনুযায়ী, এক ব্য়াঙ্কে দুটি অ্যাকাউন্ট থাকলেও, তিনি সর্বাধিক ৫ লক্ষ টাকাই ফেরত পাবেন। যদি আপনার দুটি ব্যাঙ্কে দুটি আলাদা অ্য়াকাউন্ট থাকে, তবে সেক্ষেত্রে দুটি অ্য়াকাউন্টের জন্যই ৫ লক্ষ টাকা করে পাবেন।