ঢাকা: মাথাপিছু আর্থিক বৃদ্ধির হারে ভারত(India)-কে টেক্কা দিতে চলেছে প্রতিবেশী বাংলাদেশ (Bangladesh)। আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (IMF) পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২১ সালই বাংলাদেশে মাথাপিছু ডিজিপি (GDP) বেড়ে দাঁড়াতে পারে ২১৩৮.৭৯৪ ডলার। সেখানেই ভারতের মাথা পিছু জিডিপি হবে ২১১৬.৪৪৪ ডলার। এই পূর্বাভাস সঠিক হলে, এই নিয়ে পরপর দিবার ভারতকে অর্থনীতিতে পিছনে ফেলে দেবে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবারই আইএমএফের তরফে তথ্য প্রকাশ করে। আইএমএফের তরফে জানানো হয়েছে, করোনার ধাক্কা সামলিয়ে ধীরে ধীরে দুই দেশের অর্থনীতিতেই বৃদ্ধি হচ্ছে। চলতি অর্থবর্ষে দুই দেশেরই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে। বছরের হিসাবে ভারতেরই জিডিপির বৃদ্ধি বেশি হবে, প্রায় ৯.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের জিডিপির বৃদ্ধি হবে ৪.৬ শতাংশ। তবে আগের বছর করোনা সংক্রমণের কারণে ডিজিপির পতনের কারণেই এই বছরও বাংলাদেশের থেকে পিছিয়েই থাকতে হচ্ছে ভারতকে।
উল্লেখ্য, গতবছর বাংলাদেশের জিডিপির বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল ৩.৮ শতাংশ, সেখানেই ভারতের ডিজিপি মাইনাসে চলে গিয়েছিল। আইএমএফের তথ্য় অনুসারে, ২০২০ সালে বাংলাদেশের প্রকৃতপক্ষে ডিজিপির বৃদ্ধি হয়েছিল ৩.৫ শতাংশ। ভারতের ডিজিপি কমে দাঁড়িয়েছিল -৭.৩ শতাংশে।
চলতি বছরে ডিজিপির রেকর্ড,পরিমাণ বৃদ্ধি হলেও গতবছরের ক্ষতির খেসারতই এখনও ভারতকে দিতে হচ্ছে। আগামী বছরও এর প্রভাব থেকে যাবে বলেই মনে করছে আইএমএফ।
তবে আইএমএফের তরফে সুখবর দিয়ে জানানো হয়েছে, ২০২২ সালে সবথেকে দ্রুত আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ভারতের। আইএমএফের তরফে যে হিসেব দেখানো হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে আগামী বছরে ভারতের অর্থনীতি ৮.৫ শতাংশ হারে বাড়তে পারে। গোটা বিশ্বের নিরিখে দেখতে গেলে, ২০২১ সালের আর্থিক বছরে ৫.৯ শতাংশ হারে বাড়তে পারে বিশ্ব অর্থনীতি এবং ২০২২ সালে তা ৪.৯ শতাংশ হারে বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিশ্ব অর্থনীতির।
আইএমএফের তথ্য অনুযায়ী, আগামী বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক বৃদ্ধির হার হতে পারে ৫.২ শতাংশ, ব্রিটেনের ক্ষেত্রে তা ৫ শতাংশ এবং চিনের ক্ষেত্রে তা ৫.৬ শতাংশ হতে পারে। আর সেখানে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি হতে পারে ৮.৫ শতাংশ হারে। আর এমনটা হলে, বিশ্বের সবথেকে দ্রুত হারে আর্থিক বৃদ্ধি হবে ভারতেই।
আইএমএফের তরফে ভারতের উপভোক্তা মূল্য সূচক (Consumer Price Index) ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতির হারও গত আর্থিক বছরের তুলনায় কমতে পারে। গতবছর এই হার ছিল ৬.২ শতাংশ। সেখান থেকে চলতি বছরে উপভোক্তা মূল্য সূচক কমে ৫.৬ শতাংশে নেমে আসতে পারে। পরবর্তী আর্থিক বছরের জন্য, এটি আরও কমতে পারে বলে মনে করছে আইএমএফ। আগামী বছরে উপভোক্তা মূল্য সূচক কমে ৪.৯ শতাংশে নেমে আসতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। যা আইএমএফের পূর্বের অনুমানের (৬.৩ শতাংশ) চেয়ে ১.৪ শতাংশ পয়েন্ট কম।
আরও পড়ুন: IMF on Indian Economy: ২০২২ অর্থবর্ষে বিশ্বের দ্রুততম অর্থনীতির দেশ হবে ভারত