IMF on Pakistan: পাকিস্তানের ১১-য় ‘ফাঁড়া’, টাকা দিয়ে শরিফের উপর নতুন বোঝা চাপাল IMF

India Pakistan Tensions: আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের এই পদক্ষেপকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সাম্প্রতিককালে, IMF কমিটিকে স্পষ্ট ভাবে ভারত জানিয়েছে যে কীভাবে বিশ্বের থেকে ঋণ নিয়ে সেই টাকা সন্ত্রাসে মদত দিতে কাজে লাগায় পাকিস্তান।

IMF on Pakistan: পাকিস্তানের ১১-য় ফাঁড়া, টাকা দিয়ে শরিফের উপর নতুন বোঝা চাপাল IMF
শেহবাজ শরিফImage Credit source: PTI | Getty Image

|

May 18, 2025 | 5:49 PM

ইসলামাবাদ: টাকার পাল্টা কাঁটা। ঋণ নিলে কথা তো শুনতেই হবে। আপাতত সেটাই দশা পাকিস্তানের। সম্প্রতি, IMF বা আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের থেকে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার তুলেছে তারা। ভারত বারবার ‘সতর্ক’ করলেও কথা শোনেনি IMF কমিটি। এবার সেই পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার জন্য আরও ১১টি শর্ত চাপিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার। যার ফলে IMF-এর চাপানো মোট শর্তের পরিমাণ এসে ঠেকেছে ৫০-এ।

রবিবার, পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের উত্তেজনার আবহ ঋণের টাকা ব্যবহারের কাজে প্রভাব ফেলতে পারে বলেই আশঙ্কা করছে IMF। সেই কারণেই পাক সরকারকে বাঁধনে রাখতে এই বাড়তি ১১ শর্ত চাপিয়েছে তারা।

আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের এই পদক্ষেপকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সাম্প্রতিককালে, IMF কমিটিকে স্পষ্ট ভাবে ভারত জানিয়েছে যে কীভাবে বিশ্বের থেকে ঋণ নিয়ে সেই টাকা সন্ত্রাসে মদত দিতে কাজে লাগায় পাকিস্তান। তারপরেও তারা পাকিস্তানকে ঋণ দিলেও, এবার সেই টাকার ব্যবহারেই চাপিয়েছে শর্ত।

বাড়তি কী কী শর্ত চাপিয়েছে IMF?

  • চলতি অর্থবর্ষের জন্য ১৭.৬ ট্রিলিয়ন ডলারের বাজেট অনুমোদনের জন্য পাকিস্তানকে বাধ্য করেছে। এই টাকাটা সম্পূর্ণ ভাবেই ব্যবহার হবে উন্নয়নমূলক কাজে।
  • পাকিস্তানকে তাদের কৃষি আয়করে চারটি ক্ষেত্র সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছে IMF।
  • কোন পথে হবে দেশের সংস্কার ও বিকাশ। তা পাকিস্তানকে মেনে চলতে হবে IMF প্রদত্ত কার্য পরিকল্পনার ভিত্তিতেই।
  • দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতায় বজায় রাখার জন্য IMF-এর টাকা খরচ করতে হবে তাদের। চেপে রাখতে হবে মূল্যবৃদ্ধিকে।
  • ২০২৭ সাল পর্যন্ত কোন কৌশলে দেশ চালাবে শরিফ সরকার। সেই তথ্য দিতে হবে IMF-কে।
  • বিদ্যুৎ বিলের জন্য নতুন কর কাঠামো তৈরি করতে হবে পাকিস্তান। যা লাগু হবে আগামী পয়লা জুলাই থেকে।
  • জ্বালানি শুল্ক উদ্ধার করতে পাক সরকার মধ্যবর্ষীয় একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে।
  • এই সংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশ তৈরি করতে হবে পাক সরকারকে।
  • এমনকি, দেশবাসীর কাছ থেকে বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে তোলা বাড়তি সারচার্জ তুলতে একটি আইন আনতে হবে পাকিস্তানকে।
  • ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশেষ প্রযুক্তি অঞ্চল ও শিল্পাঞ্চল তৈরির জন্য একটি রূপরেখা তৈরি করতে হবে পাকিস্তানের সরকারকে।
  • পাঁচ বছরের কম সময় ব্যবহৃত গাড়ি আমদানির উপর চাপানো করের বোঝাও কমাতে পাকিস্তানকে।