
‘নো কস্ট ইএমআই’, ‘ইনস্ট্যান্ট লোন’, ‘Buy Now Pay Later’, এইগুলো আসলে এক ধরনের ফাইন্যান্সিয়াল টুল। একসময় এইসব সুবিধা পাওয়া অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ছিল। কিন্তু এখন এই সব সুবিধা লাইফস্টাইলে পরিণত হয়েছে, সেই সঙ্গে তৈরি করছে ফাঁদও।
জিওর হাত ধরে ইন্টারনেট বিপ্লবের পর ভারতের বাজারে স্মার্টফোনের ব্যবহার বেড়েছে। আর সেই সঙ্গে বেড়েছে এই ধরনের ‘সুবিধা’। আর লক্ষ লক্ষ মানুষ দ্বিতীয়বার না ভেবেই সহজ ঋণের আশায় এই ধরনের অ্যাপ বা ঋণের ফাঁদে পড়ছে। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই অর্থনৈতিক অশিক্ষার কারণে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে গ্রহীতাকে ১৪ হাজার, ১৫ হাজার টাকা ফেরত দিতে হচ্ছে। আর এতে একটা দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন এই মানুষগুলো।
বারংবার ধার নেওয়া ও তা সঠিক সময়ে শোধ করায় কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু এতে কোনও ব্যক্তির ক্রেডিট স্কোর খারাপ হতে পারে। একটা ইএমআই মিস করলে টানাটানি হতে পারে মান সম্মান নিয়ে। পরে অন্য কোনও লোন নিতে বা চাকরির ক্ষেত্রেও সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন ওই ব্যক্তিরা।
তাহলে কী করা যেতে পারে? সবার আগে ঋণ নেওয়ার যে টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন, তো ভাল করে পড়বেন। দ্বিতীয়ত, একান্ত প্রয়োজন না পড়লে এমন লোন নেবেন না। আর যদিও নেন, লোনের পেমেন্টের তারিখ থেকে প্রতিটা খুঁটিনাটি নখদর্পণে রাখবেন।
বর্তমানে ভারতের লোন ইন্ডাস্ট্রি একটা বিরাট পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যা ভবিষ্যতে জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হতে যাচ্ছে। ফলে আগামীতে ‘Buy Now Pay Later’ যদি হঠাৎ করে ‘Buy Now Cry Later’ হয়ে যায় তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।