
রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি করে আমাদের দেশ। আর সেই তেল আমদানি নিয়ে ভারতের উপর বেশ কিছুদিন ধরেই ক্ষুব্ধ আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর সেই আমেরিকা থেকেই এবার নাকি প্রচুর পরিমাণে তেল আমদানি করছে আমাদের দেশ। তবে কি ট্রাম্পের রক্তচক্ষু এড়াতে এমন কোনও পদক্ষেপ করল ভারত? রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কি তবে একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হতে চলেছে?
কনসালটিং ফার্ম কেপলারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ভারত আমেরিকা থেকে প্রতিদিন ৫ লক্ষ ৪০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে। ২০২২ সালের অক্টোবরের পর থেকে যা নাকি সর্বোচ্চ। এই মাসের শেষে সেই পরিমাণ ৫ লক্ষ ৭৫ হাজার ব্যারেলে পৌঁছেতে পারে, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু আমেরিকা থেকে এই পরিমাণ তেল কেন আমদানি করা হচ্ছে?
ভারত আগেই জানিয়েছিল, যেখান থেকে সস্তায় তেল পাবে, সেই দেশ থেকে তেল কিনবে তারা। আর ভারতের সেই কথা অনুযায়ী বর্তমানে আমেরিকা থেকে বেশ সস্তায় তেল কিনছে আমাদের দেশের তৈল শোধনাগারগুলো। এ ছাড়াও চিনের চাহিদাও কমে গিয়েছে। আর সেই কারণেই বেশ সস্তায় তেল পাচ্ছে ভারত। তবে, আমেরিকা থেকে তেল আমদানি বাড়লেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের আনন্দ পাওয়ার মতো কিছুই ঘটেনি। অন্তত তথ্য তাইই বলছে। কেন? কারণ, ভারতের বর্তমান আমদানির ৩৩ শতাংশ এখনও আসে রাশিয়া থেকেই।
রাশিয়ার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তেল ভারত কেনে ইরাজ থেকে। ইরাকের পর আসে সৌদি আরব। এক সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থা বলছে, সরকারি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, আমেরিকা থেকে তেল কেনার বড় কারণগুলোর মধ্যে একটা হল ভারতের আমদানির ক্ষেত্রগুলোকে আরও বৈচিত্রময় করে তোলা। এ ছাড়াও আমেরিকাকে একটা সহযোগিতার সংকেত দেওয়া। আর এর ফলে, সুগম হতে পারে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করার পথও!