
দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও মজবুত করতে এবার উদ্যোগী হল কেন্দ্রীয় সরকার। জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলো আগামী ৫ বছরে ৩২ হাজার ৭৬৬ কোটি টাকা খরচ করতে চলেছে শুধুমাত্র গবেষণা ও উন্নয়নের (Research and Development) কাজে। যদিও এই অঙ্কটা গত ১০ বছরে ছিল ৩০ হাজার ৯৫২ কোটি টাকা।
এতদিন ভারতের প্রতিরক্ষা শিল্প ছিল অনেকটা উৎপাদনের উপর নির্ভরশীল। তবে, বর্তমানে কেন্দ্র নিজেদের রণনীতি বদল করেছে। লক্ষ্য একটাই, গবেষণা ও উন্নতির মাধ্যমে এমন প্রযুক্তি তোইরি করা যা ভারতকে আত্মনির্ভর করবে। এ ছাড়াও সেই প্রযুক্তি যেন ভারত রফতানিও করতে পারে।
হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড, ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেডের মতো পুরনো সংস্থাগুলো যেমন রয়েছে এর পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে নতুন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলোও। ২০২১ সালে ভারতের অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড ভেঙে ৭টি প্রতিরক্ষা সংস্থা তৈরি করেছিল কেন্দ্র। তারাও এই রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টে ৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।
এ ছাড়াও দেশের জাহাজ নির্মাণ সংস্থাগুলোও আলাদা করে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা এই কাজের জন্য বরাদ্দ করেছে। আগেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং চলতি ২০২৫ সালকে ‘সংস্কারের বছর’ বলে ঘোষণা করেছিলেন। আর এই বিনিয়োগ তারই প্রতিফলন।
মন্ত্রক সূত্রের খবর, এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলো ইতিমধ্যেই নজির গড়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে তাদের টার্নওভার পৌঁছে গিয়েছে ১ লক্ষ ৮ হাজার কোটি টাকায়। যা গত অর্থবর্ষের তুলনায় ১৫.৪ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে রপ্তানিও প্রায় বেড়েছে ৫১ শতাংশ। এই সংখ্যাগুলিই প্রমাণ করে, ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র আজ কেবল দেশের চাহিদা মেটাচ্ছে না, বিশ্বমঞ্চেও তার ছাপ রাখছে।