Indian Economy, IMF: বিশ্বজুড়ে মন্দার শঙ্কা, চড়চড়িয়ে বাড়বে ভারতের অর্থনীতি!

Indian Economy: ভারতের যে পরিমাণ বৃদ্ধির কথা বলা হচ্ছে, তা কি আদৌ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার জন্য যথেষ্ট? আর সেখানেই রয়েছে একটা শঙ্কার চোরা স্রোত। কারণ, বিশ্বের অন্যান্য দেশে বৃদ্ধির হার ধীর হলে, তার প্রভাব পড়তে পারে একাধিক ক্ষেত্রে।

Indian Economy, IMF: বিশ্বজুড়ে মন্দার শঙ্কা, চড়চড়িয়ে বাড়বে ভারতের অর্থনীতি!
Image Credit source: Javier Ghersi/Moment/Getty Images

Oct 15, 2025 | 5:51 PM

বিশ্ব অর্থনীতির জন্য বিরাট এক সতর্কবার্তা দিল International Monetary Fund বা আইএমএফ। যদিও বিশ্ব জুড়ে এই মন্দার আবহাওয়ায় একমাত্র উজ্জ্বল নক্ষত্র আমাদের ভারত। আইএমএফ তাদের সম্প্রতি প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক রিপোর্টে স্পষ্ট জানিয়েছে ২০২৫ সালে ভারতের বৃদ্ধির গড় হার থাকতে পারে ৬.৬ শতাংশ। যা আমেরিকা, জার্মানি বা চিনের তুলনায় অনেক বেশি।

উল্লেখ্য, তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, চিনের বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৪.৮ শতাংশ। সৌদি আরবের বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৪ শতাংশ। আইএমএফের দেওয়া ওই বৃদ্ধির পূর্বাভাসের তালিকায় আর কোনও দেশে নেই যাদের বৃদ্ধি ৪ শতাংশের উপরে। সৌদি আরবের পর ৩.৯ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস নিয়ে রয়েছে নাইজিরিয়া।

ভারতের যে পরিমাণ বৃদ্ধির কথা বলা হচ্ছে, তা কি আদৌ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার জন্য যথেষ্ট? আর সেখানেই রয়েছে একটা শঙ্কার চোরা স্রোত। কারণ, বিশ্বের অন্যান্য দেশে বৃদ্ধির হার ধীর হলে, তার প্রভাব পড়তে পারে একাধিক ক্ষেত্রে।

বিশ্বের বাকি দেশগুলোর কী অবস্থা?

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুককের রিপোর্ট বলছে, বিশ্বের অর্থনীতির বৃদ্ধির হারও ধীরই থাকবে। গত বছরের ৩.৩ শতাংশ থেকে কমে তা ৩.২ শতাংশে দাঁড়াবে। আর তার উপর বাজারের চিন্তা বাড়াবে শুল্ক নীতি ও বাজারের অস্থিরতা।

উন্নত দেশগুলোর গড় বৃদ্ধি যেখানে ১.৫ শতাংশের আশেপাশে থাকবে সেখানে ভারত সহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর বৃদ্ধির হার থাকবে ৪ শতাংশের আশেপাশে থাকবে বলেই মনে করছে আইএমএফ। ফলে, বাজারের অর্থনৈতিক দুর্বলতা বা আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতি বাড়লে টান পড়তে পারে এ দেশের বিদেশি বিনিয়োগেও।

কী করা যাবে এখন?

ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড বিভিন্ন দেশের নীতিনির্ধারকদের সতর্ক করছে। তারা বলছে, শুধু বৃদ্ধির দিকে নজর দিলেই যে হবে, এমনটা নয়। অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর সংস্কার করা ও দেশের একাধিক ক্ষেত্রে আর্থিক সঞ্চয় বাড়ানো জরুরি। আর একই সঙ্গে দেশের সরকারকে বাণিজ্যিক কূটনীতির মাধ্যমে শুল্ক নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের আগাম সতর্কতার ব্যবস্থা করতে হবে।

ভারতের যে বৃদ্ধির পূর্বাভাস, সেটা ভারতের অর্থনীতির একটি শক্তিশালী ভিত্তি। আর ৬.৬ শতাংশ বৃদ্ধির উপর নির্ভর করে বিশ্ব অর্থনীতির আসন্ন মন্দার শঙ্কাকে চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে সরকার থেকে দেশের শিল্পমহল।