Indian Navy, Submarine: জার্মান প্রযুক্তির সাবমেরিন আসছে ভারতে, এবার লুকিয়ে শত্রুকে ঘায়েল করা শুধু সময়ের অপেক্ষা!

German-Technology Submarines: ভারতের নৌসেনা কবে হাতে পাবে এই সাবমেরিন? প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চুক্তি সই হলেও প্রথম সাবমেরিন হাতে পেতে অন্তত ২০৩২ সাল হয়ে যাবে। অর্থাৎ, প্রায় ৭ বছর অপেক্ষা করতে হবে ভারতকে। তারপর মিলবে ডেলিভারি। শুরুতে এই সাবমেরিনে ৪৫ শতাংশ স্বদেশি যন্ত্রাংশ ব্যবহৃত হবে।

Indian Navy, Submarine: জার্মান প্রযুক্তির সাবমেরিন আসছে ভারতে, এবার লুকিয়ে শত্রুকে ঘায়েল করা শুধু সময়ের অপেক্ষা!
ভারতের সাবমেরিনে কাঁপছে পাকিস্তান?Image Credit source: PTI

Dec 17, 2025 | 5:25 PM

ভারতীয় নৌবাহিনীতে এবার যুক্ত হতে চলেছে ৬টি অত্যাধুনিক সাবমেরিন। আর সমুদ্রের নীচে ভারতীয় নৌসেনার শক্তি বাড়াতে এবার কোমর বেঁধে নেমেছে মাজাগাঁও ডকইয়ার্ড লিমিটেড। তারা হাত মিলিয়েছে জার্মানির থাইসেন ক্রুপ মেরিন সিস্টেমসের সঙ্গে। এখন লক্ষ্য একটাই আগামী ৪টে মাসের মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষর করে কাজ শুরু করে দেওয়া।

জানা গিয়েছে ২০১৯ সালে এই প্রোজেক্টের বাজেট ছিল ৪৩ হাজার কোটি টাকা। আর সেই বাজেট পার করে প্রায় দ্বিগুণের বেশি খরচ করতে চলেছে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রক। জানা গিয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকায় ঠেকে গিয়েছে এই ডিলের খরচ। কিন্তু এমন কেন হল? আসলে নতুন এই সাবমেরিনগুলো শুধুমাত্র ডিজেল ইলেকট্রিক সাবমেরিন, এমন নয়। এই সাবমেরিনগুলোয় রয়েছে অত্যাধুনিক এআইপি প্রযুক্তি। অর্থাৎ, এই সাবমেরিন বাইরের কোনও ধরনের অক্সিজেন সাপোর্ট ছাড়াই নিশ্চিন্তে টানা কয়েক সপ্তাহ জলের নীচে ডুবে বসে থাকতে পারে। আর এই কারণেই এই সাবমেরিন তৈরিতে অনেক বেশি খরচ হবে বলে জানা গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, মাজাগন ডকইয়ার্ড জার্মানির সংস্থার সঙ্গে দর কষাকষির পরই নাকি ১ লক্ষ ২০ হাজার কোটি থেকে নেমে এই সাবমেরিনের দাম দাঁড়িয়েছে ৯০ হাজার কোটি টাকায়।

ভারতের নৌসেনা কবে হাতে পাবে এই সাবমেরিন? প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চুক্তি সই হলেও প্রথম সাবমেরিন হাতে পেতে অন্তত ২০৩২ সাল হয়ে যাবে। অর্থাৎ, প্রায় ৭ বছর অপেক্ষা করতে হবে ভারতকে। তারপর মিলবে ডেলিভারি। শুরুতে এই সাবমেরিনে ৪৫ শতাংশ স্বদেশি যন্ত্রাংশ ব্যবহৃত হবে। যা পরের দিকে পৌঁছে যাবে ৬০ শতাংশে।

ভারতের চ্যালেঞ্জ কোথায়?

  • ডিজাইন: এই সাবমেরিনে রয়েছে নতুন প্রযুক্তি। এ ছাড়াও এই সাবমেরিন তৈরি হবে একেবারে নতুন ডিজাইনের উপর ভিত্তি করেই।
  • সময়সীমা: এমন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কোনও সাবমেরিন ৭ বছরের মধ্যে ডেলিভারি দেওয়ার দাবি কি আদপে বাস্তবসম্মত? এই নিয়েও একটা সংশয় তৈরি হয়েছে ওয়াকিবহাল মহলে।
  • একক বিডার: এই সাবমেরিন তৈরির ক্ষেত্রে একমাত্র বিডার হিসাবে ছিল লারসন অ্যান্ড টুব্রো। আর সেই এল অ্যান্ড টি দৌড় থেকে ছিটকে যাওয়ায় সাবমেরিনের সঠিক দাম যাচাই করার সুযোগও কমে গিয়েছিল অনেকটা।

ক্রমাগত তাদের শক্তি বৃদ্ধি করছে চিন ও পাকিস্তান। আর সেই শক্তির মোকাবিলায় এই সাবমেরিন ভারতের জন্য অপরিহার্য। খরচ বাড়লেও রণকৌশলের দিক থেকে ভারত পিছিয়ে থাকতে রাজি নয়। এখন দেখার বিষয় এটাই যে এই চুক্তি আসলে কবে স্বাক্ষরিত হয়।