
ভারতের উপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানো ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ৩০০০ কোটি ডলার তুলে নেওয়ার পর মনে করা হয়েছিলও হয়তও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না ভারতের বাজার। আর সেই কারণেই ‘আন্ডারওয়েট’ তকমা দিয়েছিল বিশ্ব বিখ্যাত ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক গোল্ডম্যান স্যাকস। যদিও তাদের এই ট্যাগ বেশিদিন স্থায়ী হল না। কারণ বছর ঘুরতে না ঘুরতেই এখন ভারতের বাজারের জন্য ‘ওভারওয়েট’ তকমা দিয়েছে তারাই। এই ঘোষণার সঙ্গেই নিফটির জন্য ২০২৬ সালের শেষে ২৯,০০০ লক্ষ্যমাত্রাও স্থির করেছে।
গোল্ডম্যান স্যাকসের রিপোর্ট বলছে, গত বছর ভারতের বাজার অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের বাজারগুলোর থেকে প্রায় ২৫ শতাংশ পিছিয়ে ছিল। এর কারণ ছিল বিভিন্ন স্টক ও সূচকের মূল্যায়ন অনেক বেশি থাকা এবং বিদেশী বিনিয়োগ চলে যাওয়া। কিন্তু এখন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতির কারণেই ছবিটা ঘুরছে।
ব্যাঙ্কিং ও ফাইনান্স: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নীতিগত শিথিলতার কারণে এই সেক্টরে মুনাফা ২০২৬ সালের শেষের মধ্যে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশা।
প্রতিরক্ষা: প্রতিরক্ষা শিল্পের দেশীয়করণ এবং আত্মনির্ভরতার ওপর জোর দেওয়ায় ডিফেন্স স্টকগুলির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
জিএসটি কমানো, খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি কম থাকা এবং ৮ম পে কমিশন থেকে সম্ভাব্য বেতন বৃদ্ধির কারণে আগামী দু’বছরে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে। আর সেই প্রভাব পড়বে বাজারেও।
গোল্ডম্যান স্যাকস বলছে, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা গত এক বছরে ৩০০০ কোটি ডলারের শেয়ার বিক্রি করেছে। তাই তাদের অবস্থান এখন দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। কিন্তু সেপ্টেম্বরের ত্রৈমাসিকে প্রত্যাশার চেয়ে ভালো কর্পোরেট আয় এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার পদক্ষেপগুলি বাজারকে নতুন করে আশা জুগিয়েছে। দেশের অভ্যন্তরীণ বৃদ্ধি ও শক্তিশালী নীতির কারণেই একহন ভারতের বাজারে এগিয়ে চলবে।