নয়া দিল্লি: ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার গভর্নরের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন শক্তিকান্ত দাস। সেই সময় ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ারে ছিল ২১১৫ কোটি মার্কিন ডলারের সোনা। তারপর থেকে ৬ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। শক্তিকান্তর আমলে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার ভরে উঠেছে সোনায়। আরবিআই-এর তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের ৪ অক্টোবর ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ারে সোনা রয়েছে ৬৫৭৫.৬ কোটি মার্কিন ডলারের। অর্থাৎ, শক্তিকান্ত দাসের আমলে বৈদেশিক মুদ্রার ভআঁড়ারে সোনা বেড়েছে ২১১ শতাংশ।
বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ারে সোনাই শুধু বাড়েনি, শক্তিকান্ত দাসের আমলে সার্বিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার ৭৮.১ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৪-এর ৪ অক্টোবর তারিখে ভারতের মোট বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার দাঁড়িয়েছে ৭০১১৭.৬ কোটি ডলার। ২০১৮-র ৭ ডিসেম্বর, ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার ছিল ৩৯৩৭৩.৫ কোটি মার্কিন ডলার।
বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তা এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি এখন সোনা মজুত করার দিকে ঝুঁকছে। মানিকন্ট্রোলের রিপোর্ট অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে, আরবিআই-ও তার ভাঁড়ারে ২৭.৪৭ টন সোনা যোগ করেছে। এক বছর আগের ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ারে সোনা ছিল ৭৯৪.৬৩ টন। তা থেকে সোনা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২২.১০ টন। এর পাশাপাশি, ভারতে জারি করা নোটগুলির ব্যাকআপ হিসেবে আরবিআই-এর কাছে ৩০৯.০৩ টন সোনা রয়েছে৷ এছাড়া, আরবিআই-এর কাছে বিদেশে থাকা সোনা-সহ ব্যাঙ্কিং বিভাগের সম্পদ হিসাবে ৫১৪.০৭ টন সোনা রয়েছে।