
বাজেট ফ্রেন্ডলি হিসাবে এয়ারলাইন হিসাবে এমনিতেই বেশ জনপ্রিয় ইন্ডিগো এয়ারলাইন। এবার তাঁরাই গড়ে ফেলল এক বিরল রেকর্ড। ছুঁয়ে ফেলল মাইলফলক। গত কয়েক মাস ধরে শক্তিশালী শেয়ারের উত্থানের ফলে কিছু সময়ের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান বিমান সংস্থা হয়ে উঠেছে ইন্ডিগো। মঙ্গলবার বাজার বন্ধের সময়ের তথ্য অনুসারে কোম্পানির মার্কেট ক্যাপ বর্তমানে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা (২৩.৩ বিলিয়ন ডলার)। যা ডেল্টা এয়ারলাইন এবং রায়ানএয়ার হোল্ডিংসের চেয়ে বেশি ।
বিভিন্ন বৈদেশিক ঘটনার প্রভাবে বাজারের তীব্র টালমাটাল পরিস্থিতির কারণে ভারতীয় বাজারে দীর্ঘদিন ধরেই মন্দা পরিস্থিতি। তবে তার মধ্যেও এই বছর ইন্ডিগোর শেয়ারের দাম ১৩% পর্যন্ত বেড়েছে।
ভারতীয় বিমান পরিবহন খাতে ৬২% বাজার অংশীদারিত্বের সঙ্গেই ইন্ডিগো এই মুহূর্তে সবচেয়ে দক্ষ কম খরছে বিমান পরিষেবা দেওয়া সংস্থাগুলির মধ্যে একটি। আর্থিক কর্মক্ষমতার উন্নতি শেয়ারের দাম বাড়ার অন্যতম মূল কারণ।
কোভিডের পর কোম্পানিটি বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জিং আর্থিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। এমনকি সম্প্রতি ২০২৫ সালের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে বিমান সংস্থাটি ৯৮৭ কোটি টাকার নিট লোকসানের কথা জানায়।
বিশ্লেষকরা বিশ্বাস করেন যে ভাড়া, অপরিশোধিত তেল এবং পিএলএফের প্রত্যাশার চেয়েও ভালো সংমিশ্রণ থেকে ইন্ডিগো লাভবান হবে। কোয়ার্টারে ৪-এ ২৩০০ কোটি টাকার শক্তিশালী পিএটি পোস্ট করে। শেষ পর্যন্ত ২০২৫ সালের প্রথম কোয়ার্টারে ৮৬০০ কোটি টাকার পিবিটি (এক্স-ফরেক্স) হয়।
ICICI সিকিউরিটিজ বলে, “ব্যয় প্রতিযোগিতামূলকতার উচ্চমাত্রা, শক্তিশালী অর্ডারবুক এবং শক্তিশালী ব্যালেন্স শিটের কারণে আমরা কোম্পানির উপর কাঠামোগতভাবে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছি। কঠিন পরিস্থিতিতেও চাহিদা বৃদ্ধি লাভের হার বাড়িয়েছে। এই ধারা FY26 তেও অব্যাহত থাকবে।”
ইন্ডিগো ২০২৬ অর্থবর্ষে দুই অঙ্কের ASK বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছে। কোম্পানির ৪৩৯টি বিমান ছিল যার মধ্যে ৫০টি গ্রাউন্ডেড এবং ২০২৬ অর্থবর্ষে প্রায় ৫০টি নতুন বিমান যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সাম্প্রতিক বিশ্লেষক সভায় বিমান সংস্থা জানিয়েছে আগামী পাঁচ বছরে আন্তর্জাতিক বিভাগে র্যাপিড গ্রোথের সম্ভাবনা রয়েছে। সংস্থার আশা, FY30 ASK-এর ৪০% আন্তর্জাতিক বিভাগ থেকে আসবে, যা FY25F-তে ছিল ২৮%।
বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ড সচেতনতা জোরদার করার জন্য, ইন্ডিগোর ব্যবস্থাপনা আগামী বছরগুলিতে আন্তর্জাতিক বাজার বৃদ্ধির একটি বৃহত্তর অংশ দখল করার লক্ষ্যে পূর্বনির্ধারিত ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করেছে। বিমান সংস্থাটি আন্তর্জাতিক ভ্রমণ পরিষেবা বৃদ্ধি এবং গ্রাহক অভিজ্ঞতা উন্নত করার জন্য ক্রমাগত সময়সূচী সামঞ্জস্য করার উপরও মনোনিবেশ করছে।