
সময়ের সঙ্গে মানুষের উপার্জনের পরিমাণ পরিবর্তন হতে থাকে। তবে, বিশেষজ্ঞরা বলেন বিনিয়োগের পরিমাণ কম বেশি হতে পারে, কিন্তু বিনিয়োগের অভ্যাস বদলালে চলবে না। তবে কোন বয়সে আপনার কাছে কত টাকা সঞ্চয় হিসাবে থাকা উচিৎ, তার একটা পরিমাণ বলে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরাই।
বয়স যখন ২০ বছরের আশেপাশে, সেই সময় কেউ যদি নূন্যতম ৫০০ টাকার এসআইপিও শুরু করে তা হলেও অসুবিধা নেই। কিন্তু শুরু করতে হবে। এতে টাকা জমানোর অভ্যেস তৈরি হয়। আগামী ১০ বছরে অর্থাৎ ৩০ বছর বয়সের মধ্যে এতটা টাকা জমাতে হবে যা ওই সময় ব্যক্তির বার্ষিক আয়। অর্থাৎ, ৩০ বছর বয়সে কারও বার্ষিক আয় যদি ৮ লক্ষ টাকা (8 LPA) হয়, তাহলে ওই বয়সে যেন ওই ব্যক্তির কাছে ৮ লক্ষ টাকা থাকে।
বয়স ৪০ হতে হতে এমন একটা জায়গায় পৌঁছে যেতে হবে বা এমন ভাবে খরচের পরিকল্পনা করতে হবে যাতে নিজের আয়ের ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ টাকা জমানো যায়। যদিও এই সময়টাই মানুষের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। বয়স ৫০ হতে হতে যেন বার্ষিক উপার্জনের ৪ থেকে ৬ গুণ জমে যায়, সেটা খেয়াল রাখতে হবে।
এর পর ওই ব্যক্তি যদি ৬০ বছর বয়সে অবসর নেয় তাহলেও সেই মুহূর্তে তার হাতে শেষ বছরের স্যালারির ১০ গুণের বেশি টাকা থাকবে। এবার ওই ব্যক্তিকে ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ থেকে সব টাকা বের করে কিছুটা নিরাপদ, ঝুঁকিহীন জায়গায় বিনিয়োগ করতে হবে।
কোথাও বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করুন। এই লেখা শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে। TV9 বাংলা বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।