
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোয় ১০০ টাকা বিনিয়োগ করলে তা নাকি ২৫৪ টাকা ফিরিয়ে দেয়। এমনই দাবি করলেন ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। তবে এটি শুধুমাত্র একটি সাধারণ হিসাব নয়, ইসরোর ও ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি নোভাস্পেসের যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত একটি রিপোর্টেও একই কথা বলা হয়েছে।
এস সোমনাথ যখন ইসরোর চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন চন্দ্রযান ৩-এর মতো মিশন সফল ভাবে সম্পন্ন করে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। অত্যন্ত কম খরচে এই মিশন সফল করেছিল ভারত। আর ইসরোর প্রাক্তন চেয়ারম্যান বলছেন, এমন কম খরচে অর্জিত সাফল্য ভারতকে অর্থনৈতিকভাবে বহুগুণ ফিরিয়ে দিয়েছে। রিপোর্ট বলছে, গত ১০ বছরে মহাকাশ গবেষণায় ভারত প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার বা ১ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করেছে। আর এর ফলে ভারতের জিডিপিতে প্রায় ২৪ বিলিয়ন ডলারের প্রভাব পড়েছে।
ইসরোর এই বিনিয়োগ কীভাবে এত রিটার্ন দেয়? ভারত মহাকাশে বিভিন্ন উপগ্রহ পাঠিয়ে আবহাওয়া ও দুর্যোগের পূর্বাভাস সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছে। কোথায় কী চাষ ভাল হচ্ছে বা ভাল হতে পারে সেই সংক্রান্ত তথ্যও সংগ্রহ করেছে ও প্রতিনিয়ত করে চলেছে। আর এই তথ্য বাস্তবে বিচার করা হচ্ছে। তখন সেই তথ্য ফসলের ফলন বাড়াতে, মানব সম্পদকে ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে ব্যবহার করা হচ্ছে। এইভাবেই ইসরো ভারতের অর্থনীতিতে নিজেদের প্রভাব বিস্তার করে চলেছে। এ ছাড়া ভারতের মহাকাশ গবেষণা মডেল অন্যান্য দেশের তুলনায় সাশ্রয়ী। ফলে, আনুপাতিক ভাবে অনেক বেশি টাকা ফিরে আসে ভারতের অর্থনীতিতে।