
মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের জন্য এসআইপি বা সিস্টেম্যাটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানের বিষয়ে আমরা সকলেই জানি। কিন্তু মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ বিনিয়োগকারীর হয়ে অন্য কেউ করতে পারে না। তবে, সেই সুবিধাও রয়েছে। তার জন্যই রয়েছে কর্পোরেট এসআইপি। যেখানে বিনিয়োগকারী যে সংস্থায় চাকরি করে সেই সংস্থা বিনিয়োগকারীর হয়ে মিউচুয়াল ফান্ডে সেই সংস্থাই বিনিয়োগ করে দেয়।
এই কর্পোরেট এসআইপির যেমন কিছু সুবিধা রয়েছে, তেমনই কিছু অসুবিধাও রয়েছে। মিরা অ্যাসেট এএমসি, বাজাজ মিউচুয়াল ফান্ডের মতো অনেক সংস্থা কর্পোরেট এসআইপির সুবিধা প্রদান করে। সংস্থাগুলো তাদের কর্মচারীদের মাইনে থেকে টাকা কেটে এএমসিগুলোয় পাঠায়। আর এই এএমসিগুলো প্রতি মাসে কর্মীদের নামে সেই টাকার পরিবর্তে মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিট বরাদ্দ করে।
এই এসআইপির ক্ষেত্রে এটাই সুবিধা যে, এসআইপি ভাঙতে চাইলে সেই টাকা সরাসরি চলে আসবে বিনিয়োগকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। চাকরি বদলালেই এই বিনিয়োগের উপর কোনও প্রভাব পড়বে না।
কিন্তু এই বিনিয়োগে সমস্যাটা কি? সমস্যা এটাই যে, কোনও সাধারণ এসআইপি সহজেই থামানো যায়। কিন্তু কর্পোরেট এসআইপি থামানোর জন্য সংস্থার এইচআর বিভাগকে একটি লিখিত অনুরোধ করতে হবে। এ ছাড়াও স্কিমটি পরিবর্তন করতে চাইলে আবারও পুরো ফর্ম পূরণ করতে হবে। এ ছাড়াও কর্পোরেট এসআইপির ক্ষেত্রে অটো পে বা NACH লিঙ্ক করা নেই। ফলে অনলাইনে শুরু বা বন্ধ করা যাবে না।
আর এখানে একটা ঝুঁকি থেকেই যায়। সংস্থা যদি তাদের কর্মচারীর থেকে টাকা কেটে নেয়, কিন্তু সেই টাকা এএমসিতে জমা না করে। এমতাবস্থায় পুরো টাকাটাই মার যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।