
ভারতের আগামিদিনের বিনিয়োগের ক্ষেত্র হল প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির ক্ষেত্র, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ড্রোন ও মহাকাশ গবেষণা মিলেমিশে রয়েছে এর সঙ্গে। এ ছাড়াও বিমানের ডিজিটাল মস্তিস্ক বা অ্যাভিওনিক্স তৈরিতেও এখন বিরাট অবদান রাখছে ভারতীয় সংস্থাগুলো। আর এই সব মিলিয়েই ৩টে এমন শেয়ার রয়েছে, যা আগামীতে বাড়তে পারে চড়চড়িয়ে।
প্রথমে রয়েছে পরস ডিফেন্স। তারা বিমান এবং মহাকাশ যানের জন্য ইন্টিগ্রেটেড ইলেকট্রনিক সিস্টেম তৈরি করে। চলতি অর্থ বছরে তাদের রেভিনিউয়ের ৫১ শতাংশ এসেছে ডিফেন্স ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে। সম্প্রতি এই সংস্থা ছোট বিমান সারস মার্ক ২-এর জন্য গ্লাস ককপিট, অ্যাভিওনিক্স স্যুইট ও অটোপাইলট সিস্টেম তৈরির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন, আগামী ৫ বছরের মধ্যে এই সংস্থার ১৪ হাজার কোটি টাকার বাজার রয়েছে।
এর পরই রয়েছে, আজাদ ইঞ্জিনিয়ারিং। এরা ফ্লাইট কন্ট্রোল ও হাইড্রলিক সিস্টেমের জন্য অত্যন্ত সূক্ষ্ম কম্পোনেন্ট সরবরাহ করে। চলতি অর্থবর্ষে এরোস্পেস সেগমেন্ট ৮৪ শতাংশ গ্রোথ দেখিয়েছে। তাদের অর্ডার বুক ইতিমধ্যেই ৬ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আগামী ৫-৬ বছর এই সংস্থার রাজস্ব বাড়বে হু হু করে, আশা করা হচ্ছে এমনই। এটি বোয়িং এবং এয়ারবাসের মতো বিমান সংস্থাকে বিমানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ সরবরাহ করে।
তৃতীয়ত, এক্সপ্লিও সলিউশনস। যদিও এরা মূলত সফটওয়্যার টেস্টিং করে। কিন্তু এদের মূল ফরাসি সংস্থা অ্যাভিওনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিশেষজ্ঞ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, ইউরোপীয় ক্লায়েন্টরা এখন খরচ কমাতে এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ সুবিধার জন্য প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কাজ ভারত-ভিত্তিক এক্সপ্লিওতে সরাচ্ছে।
যদিও এই শেয়ারগুলো বাজারের তুলনায় অনেক বেশি দামি। যেমন, পরসের পিই অনুপাত প্রায় ৮৮ গুণ, যা বাজারের তুলনায় অনেকটা বেশি। তবে, এই সংস্থাগুলির শক্তিশালী অর্ডার বুক, ক্রমবর্ধমান রফতানি এবং ভারত সরকারের স্বদেশী উৎপাদনে জোর, এই সব মিলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন আগামিদিনে অ্যাভিওনিক্স সেক্টর একটা দারুণ বৃদ্ধি দেখবে।
কোথাও বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করুন। এই লেখা শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে। TV9 বাংলা বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।