
দেশের বিমার ক্ষেত্রে একটা বিরাট বদল নিয়ে আসতে চলেছে দেশের ইন্সিওরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি, খবর সূত্রের। এজেন্টদের কমিশন বাবদ বেশ টাকাই খরচ করে এই বিমা সংস্থাগুলো। আর সেই নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রেগুলেটর লাইফ এবং জেনারেল ইন্সিওরেন্স। আর তারপর তারা বিভিন্ন সংস্থাকে খরচ কমানোর নির্দেশ দিয়েছে। এই নির্দেশের পরেই নড়েচড়ে বসেছে দেশের লাইফ ইন্সিওরেন্স ইন্ডাস্ট্রি।
এই খরচ কমানোর উপায় খুঁজতে একটি ৯ সদস্যের কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। এই কমিটি সর্বসম্মতভাবে ‘ফ্রন্ট-লোডিং’ কমিশন কাঠামো থেকে সরে এসে ‘ডেফার্ড কমিশন’ কাঠামোতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
কমিশন কাঠামোয় ঠিক কী পরিবর্তন আসছে? বর্তমান নিয়মে, একটি ২০ বছরের টার্ম লাইফ পলিসিতে প্রথম বছরেই ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন দেওয়া হয়। কিন্তু প্রস্তাবিত ডেফার্ড কাঠামোর অধীনে, প্রথম বছরের কমিশন কমিয়ে ৮ শতাংশ করা হবে। এটি মোট কমিশনের ৫ বছরের ভাগ। এই ৮ শতাংশ কমিশনও দেওয়া হবে কেবল পলিসি রিনিউ হলেই।
কমিটি আগামী ১৮ ডিসেম্বর IRDAI-এর কাছে এই নতুন ডেফার্ড কমিশন কাঠামোর প্রস্তাব জমা দিতে চলেছে। এই পরিবর্তন এজেন্টদের আয়ে সরাসরি প্রভাব ফেলবে, অন্যদিকে গ্রাহকদের জন্য দীর্ঘমেয়াদে প্রিমিয়াম কমার সম্ভাবনাও বাড়াবে।
একইভাবে আইআরডিএ কড়া নজর রেখেছে জেনারেল ও হেলথ ইন্সিওরেন্সের দিকেও। এই সংস্থাগুলির উচ্চ ডিস্ট্রিবিউশন ও ম্যানেজমেন্ট খরচ নিয়েও অসন্তুষ্ট তারা। রেগুলেটর গত ৫ বছরের খরচ সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছে। বর্তমানে জেনারেল ইন্সিওরেন্সের জন্য এই খরচের সীমা ৩০ শতাংশ এবং হেলথ ইন্সিওরেন্সের জন্য ৩৫ শতাংশ। কিছু সংস্থা পরামর্শ দিয়েছে যে, পুরনো সংস্থাগুলির জন্য এই সীমা ৫-১০ শতাংশ কমানো হোক। এই পদক্ষেপ বীমা ক্ষেত্রকে আরও স্বচ্ছ এবং সাশ্রয়ী করবে বলে আশা করা হচ্ছে।