
বর্তমানে ভারতে ডিজিটাল লেনদেনের শিরদাঁড়া হিসাবে বিবেচিত হয় ইউপিআই বা ইউনিফায়েড পেমেন্ট ইন্টারফেস। সেই সিস্টেম প্রযুক্তিগত ভাবে বেশ শক্তপোক্ত হলেও এর স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখতে যা খরচ তা বহন করছে সাধারণ মানুষ ও ছোট ব্যবসায়ীরা।
ভারতের অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থাতে বদলে দিয়েছে ইউপিআই। অগস্ট মাসে ইতিমধ্যেই দৈনিক লেনদেনের অঙ্ক ৯০ হাজার কোটি ছাড়িয়েছে। তবে, ইউপিআই সিস্টেম কোনও অতিরিক্ত চাপ বা ত্রুটির মধ্যে পড়ে তখনই এর কার্যকারিতার আসল পরীক্ষা হয়। আর ইদানিংকালে এই ধরনের সমস্যাগুলোই ইউপিআইয়ের দুর্বল দিকগুলো দেখিয়ে দিয়েছে।
ইউপিআইয়ের সার্ভারের সমস্যা ঠেকাতে ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া বেশ কিছু নিয়ম চালু করেছে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে প্রতিদিন ব্যালেন্স চেক করার সীমা, যখন সার্ভারে চাপ কম থাকবে তখন অটোপের টাকা কাটা বা পেমেন্ট করে তা কমপ্লিট হয়েছে কি না, সেটা বারবার চেক করা। তবে এই ধরনের পদক্ষেপ করে ইউপিআই সার্ভারকে কিছুটা স্থিতিশীল করলেও অনেক ক্ষেত্রে ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ ব্যবহারকারী থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের।
ইউপিআই লেনদেনের ১ শতাংশেরও কম হল অটো পে। তবুও এই খাতে যদি মাত্র ৫ শতাংশ অটো পে ব্যর্থ হয়, তা হলেও ব্যাপক প্রভাব পড়ে। বছরে ক্ষতি হয় প্রায় ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। আর এর মধ্যে কর হিসাবে ক্ষতি হয় প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
ছোট ব্যবসায়ী ও এমএসএমইরা নিয়মিত অটো পে ও বিলিং সিস্টেমের উপর নির্ভর করেন। আর এখানে সমস্যা তৈরি হলে প্রাথমিক ক্ষতিটা হয় তাঁদেরই। ফলে ইউপিআইকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে হবে। যাতে ব্যবহারকারীদের কোনও ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে না হয়।