
যে কোনও দেশের সেনাবাহিনীর অন্যতম ভরসার জায়গা হল বায়ু সেনা। একই ভাবে ভারতীয় বায়ু সেনাও একাধিক যুদ্ধে ভারতের জয়পতাকা উড়িয়েছে। আর এবার ভারতীয় বায়ুসেনার শিরদাঁড়া বলে পরিচিত মিগ ২১ অবসর নিতে চলেছে। আর এর ফলে ভারতের এয়ার স্কোয়্যাড্রনের সংখ্যা কমে দাঁড়াবে ২৯। বিশেষজ্ঞদের মতে ভারতের মতো দেশে এয়ার স্কোয়্যাড্রনের সংখ্যা হওয়া উচিত অন্তত ৪২।
ইতিমধ্যে ভারতের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান তার আস্ফালন দেখাচ্ছে। অন্যদিকে ওঁত পেতে রয়েছে চিনও। ফলে, ভারতকে এই দুই দুষ্টের নজর থেকে বাঁচাতে তৎপর মস্কো। আর সেই কারণেই তারা চাইছে ভারতকে এসইউ-৫৭ যুদ্ধ বিমান দিতে। সূত্র বলছে, এই মুহূর্তে ভারত বাইরে থেকে ৪০ থেকে ৬০টি পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটার জেট কিনতে পারে। আর তার অপশন হিসাবে রয়েছে রাশিয়ার এসইউ-৫৭ ফেলন ও মার্কিন এফ-৩৫ এফ।
কিন্তু ভারত কী ভাবছে? সরকারিভাবে এর কোনও জবাব না এলেও বিশেষজ্ঞ মহল বলছে, কিছুটা হলেও পাল্লা ভারি রাশিয়ার। আর এর প্রধান কারণ রয়েছে ২টো। ইতিমধ্যেই ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর সেই কারণেই ট্রাম্পের দেশের এফ-৩৫-এর প্রতি আগ্রহ দেখানোর কথা নয় ভারতের। এ ছাড়াও ট্রাম্পের পাকিস্তান প্রেম। পাক সেনা প্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কও বেশ ভাল।
আর এর মধ্যেই সামনে এসেছে ভারতকে এই ফাইটার জেট কেনা নিয়ে একটা মেগা অফার দিয়েছে রাশিয়া। ভারতে থাকা রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত অলিপভ বলেছেন, ভারত এসইউ-৫৭ নিলে রাশিয়া প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে তৈরি। এ ছাড়াও ভারতকে ওই বিমানের সোর্স কোডও দেবে রাশিয়া। ফলে এসইউ-৫৭ যুদ্ধ বিমানে যে কোনও অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে ভারত। এ ছাড়াও, এই বিমান তৈরি করে অন্য বন্ধু রাষ্ট্রকে বিক্রি করার সুবিধাও পাবে ভারত।
এর সুবিধার পরও আরও একটি সুবিধা পাবে ভারতীয় বায়ু সেনা ও ডিআরডিও। ভারতে তৈরি অ্যামকার জন্য ইঞ্জিনের যে সমস্যা, তাও মিটে যাবে এই বিমান ভারতের হাতে এলে। এই বিমানের ইঞ্জিনই ভারত অ্যামকায় ব্যবহার করতে পারবে। ফলে অন্য দেশের ইঞ্জিনের দিকে মুখিয়ে থাকতে হবে না ভারতকে। ৭ অগস্ট মস্কো সফরে গেলে অজিত দোভালের সঙ্গে দেখা করেন পুতিন। সেপ্টেম্বরে ভারতে আসতে পারেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। আর এতেই বেড়েছে জল্পনা। তবে কি ভারতের কাছে আসতে চলেছে সুখোইয়ের আরও একটি বিমান!