
LVM3-M6 রকেটের সফল উৎক্ষেপণ শেষ হতেই নতুন লক্ষ্য স্থির করে ফেলল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা তথা ইসরো। ২০২৬ সালে ভারতের মহাকাশ গবেষণার চিত্রটা বদলে দিতে চলেছেন সংস্থার চেয়ারম্যান ডঃ ভি. নারায়ণন। লক্ষ্য একটাই, নাসার হাত থেকে বিশ্বসেরার তকমা ছিনিয়ে নেওয়া।
গগনযানের লিটমাস টেস্ট ২০২৬-এর ক্যালেন্ডারে সবচেয়ে বড় নাম ‘গগনযান’। মার্চ মাসের মধ্যেই প্রথম মানুষবিহীন ‘G1’ মিশন লঞ্চ করবে ভারত। মহাকাশে যাবে রোবট ‘ব্যোমমিত্র’। আপনি কি জানেন, এটিই ঠিক করবে ভারতীয় নভশ্চরদের নিরাপত্তা। লাইফ-সাপোর্ট থেকে রি-এন্ট্রি প্রযুক্তি—সবকিছুর চূড়ান্ত পরীক্ষা হবে এই মিশনে।
প্রাইভেট সেক্টরের রকেটের দাপট মহাকাশ যুদ্ধে ইসরো এখন আর একা নয়। আগামী দুই মাসের মধ্যেই ডানা মেলছে বেসরকারি স্টার্টআপ ‘স্কাইরুট এরোস্পেস’। সঙ্গে থাকছে SSLV-র বাণিজ্যিক ব্যবহার। কম খরচে মহাকাশ জয়ের এই মডেল ভারতের জন্য নতুন আয়ের পথ খুলে দেবে।
জানা গিয়েছে, ২০২৬-এ ইসরো একসাথে ৩৪টি দেশীয় প্রযুক্তির পরীক্ষা করবে। এর মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রিক প্রপালশন এবং কোয়ান্টাম কমিউনিকেশনের মতো জটিল বিষয়।
চাঁদ থেকে শুক্র; ভারতের মহাকাশের লড়াই এখন একাধিক যুদ্ধ জয় করতে প্রস্তুত। ২০২৬ সাল ভারতের জন্য শুধুমাত্র একটা বছর নয়, বরং আকাশ জয়ের এক নতুন মাইলফলক হতে চলেছে।