
জিও মানেই বিপ্লব। অন্তত জিও লঞ্চ হওয়ার পর থেকে ভারতীয়রা তাইই দেখে আসছে। শুরুতেই টেলিকম সেক্টরে বিপ্লব এনেছিল জিও। তারপর ২৪ টাকায় আয়কর রিটার্ন ফাইল করা। আর এবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রেও এমনই এক বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত নিল জিও। মুকেশ অম্বানির সংস্থা তিনটি নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সামনে নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে Jio AI Cloud, জিও ভার্চুয়াল কম্পিউটার-JioPC ও স্মার্ট চশমা-JioFrames।
জিও ক্লাউড শুধু ফাইল স্টোর করে রাখার জন্য নয়। এতে যুক্ত হয়েছে ভয়েস কমান্ডের সুবিধাও। আর এই কম্যান্ড বাংলা, হিন্দি, তামিল, তেলুগুর মতো ভারতীয় ভাষাও বুঝতে পারে। যেমন, নিজের ভাষায় সেই ক্লাউডকে কোনও নির্দেশ দিলেই আপনার নির্দেশ মতো কাজ করবে সে। আবার ‘AI ক্রিয়েট হাব’-এর মাধ্যমে আপনার সাধারণ ছবি দিয়ে আকর্ষণীয় রিল বা ভিডিয়োও বানিয়ে ফেলা যাবে এই এআই ক্লাউডে।
জিওর সবচেয়ে বড় চমক হলো JioPC। এটি আসলে একটি ভার্চুয়াল কম্পিউটার। এই কম্পিউটার আপনার সাধারণ টিভি বা যেকোনো স্ক্রিনকে মুহূর্তে কম্পিউটারে পরিণত করবে। এর জন্য শুধু একটি জিও সেট-টপ বক্স ও কি-বোর্ড প্রয়োজন। হার্ডওয়্যারের বিপুল খরচ ছাড়াই ক্লাউডের শক্তিতে কাজ করবে এই জিও পিসি। তবে ‘পে-অ্যাজ-ইউজ’ মডেলে কাজ করবে জিও পিসি। অর্থাৎ যতটুকু ব্যবহার করবেন আপনি, খরচ করতে হবে শুধু সেই টুকুর জন্যই।
এ ছাড়াও জিও নিয়ে এসেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত স্মার্ট চশমা। এই চশমার মাধ্যমে আপনি হাত ব্যবহার না করেই HD ছবি তুলতে, ভিডিইয়ো রেকর্ড করতে পারবেন। চশমাই আপনাকে বইয়ের সারাংশ পড়ে শোনাবে। এর ওপেন-ইয়ার স্পিকারের মাধ্যমে ফোন করতে বা গান শুনতেও পারবেন আপনি। সব মিলিয়ে, জিও ভারতের সাধারণ মানুষের জন্য এক নয়া ডিজিটাল ভবিষ্যৎ নিয়ে এসেছে, বলাই যায়।