AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Arun Ice Cream owner: ৬৫ টাকা বেতন থেকে ২০ হাজার কোটির সাম্রাজ্য, ‘Arun আইসক্রিমে’র মালিককে চেনেন?

Arun Ice Cream owner: চাকরি পছন্দ না হওয়ায় এক বছর চাকরি ছেড়ে দেন। টাকা ছিল না। অভাবের তাড়নায় কিছু সম্পত্তি বিক্রি করে দেন তিনি। এর থেকে পাওয়া ১৩,০০০ টাকা নিয়ে তিনি চেন্নাই চলে যান। সেই স্বপ্নের শুরু। তবে এত বড় সাম্রাজ্য গড়ে উঠবে, তা বোধ হয় ভাবেননি তিনি নিজেও।

Arun Ice Cream owner: ৬৫ টাকা বেতন থেকে ২০ হাজার কোটির সাম্রাজ্য, 'Arun আইসক্রিমে'র মালিককে চেনেন?
আর জি চন্দ্রমোগানImage Credit: twitter
| Updated on: Jan 06, 2024 | 6:55 PM
Share

চেন্নাই: জন্মগ্রহণ করেছিলেন এক দরিদ্র পরিবারে। মুদি দোকানদারের ছেলের পড়াশোনা করার ক্ষমতাও ছিল না বললেই চলে। কঠোর পরিশ্রম, বুদ্ধিমত্তা, আর উৎসাহের জোরে কীভাবে ২০ হাজার কোটি টাকার সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন, তা শিখতে গেলে জানতেই হবে আর জি চন্দ্রমোগানের গল্প। হাতে ছিল সামান্য কিছু পুঁজি। ছিল স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার প্রবল চেষ্টা। তাতেই ঘটে গেল ‘ম্যাজিক।’ বর্তমানে কলকাতা সহ বাংলায় ‘অরুণ আইসক্রিম’ নামে যে ব্র্যান্ড জনপ্রিয়তা পাচ্ছে, তা শুরু হয় এই চন্দ্রমোগানের হাত ধরেই। তাঁর সংস্থা হল ‘চন্দ্রমোগান হাটসন অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস’। দেশের অন্যতম বড় বেসরকারি দুগ্ধ কোম্পানি এটি। কোম্পানিটি ১০ হাজার গ্রামের ৪০ হাজার কৃষকের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করে। ৪২ টিরও বেশি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত এই হাটসন অ্যাগ্রো।

আর জি চন্দ্রমোগান তামিলনাড়ুর বিরুধনগর জেলার থিরুথাঙ্গালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা একটি ছোট মুদির দোকান চালাতেন। কিন্তু, এই দোকানটি থেকে যা রোজগার হত, তা তাঁর পড়াশোনার জন্য়ও যথেষ্টে ছিল না। একটি সরকারি স্কুলে পড়াশোনা করতেন, অঙ্ক ছিল তাঁর প্রিয় বিষয়। কিন্তু, পরবর্তীতে লেখাপড়া ছেড়ে দেন তিনি। মাত্র ১৫ বছর বয়সে, তিনি একটি কয়লা ডিপোতে কাজ শুরু করেন। সেই সময় মাসে ৬৫ টাকা বেতন পেতেন।

চাকরি পছন্দ না হওয়ায় এক বছর চাকরি ছেড়ে দেন। টাকা ছিল না। অভাবের তাড়নায় কিছু সম্পত্তি বিক্রি করে দেন তিনি। এর থেকে পাওয়া ১৩,০০০ টাকা নিয়ে তিনি চেন্নাই চলে যান। রায়পুরম এলাকায় একটি ছোট জায়গা ভাড়া নিয়ে আইস ক্যান্ডি তৈরি করতে শুরু করেন। তিনি নিজে ওই ছোট কারখানায় তিনজন শ্রমিক নিয়ে কাজ করতেন এবং রাতে সেখানেই ঘুমাতেন।

প্রাথমিকভাবে, তিনি দিনে ১০ হাজার কাঠি এবং কাপ আইস ক্যান্ডি তৈরি করতেন এবং ৬টি ট্রাইসাইকেল ও ১৫টি হাতে টানা গাড়িতে সেগুলো বিক্রি করতেন। তিনি নিজেও গাড়ি নিয়ে বিক্রি করতে যেতেন। নাম রেখেছিলেন ‘অরুণ’। স্কুল-কলেজের সামনে পার্কিং করা হত গাড়ি। প্রথম বছরেই তিনি দেড় লক্ষ টাকা আয় করেছিলেন। ১৯৮১ সাল নাগাদ, তাঁর বিক্রি বেড়ে ৪ লক্ষ ২৫ হাজারে পৌঁছেছিল। ওই বছর তিনি চালু করেন ‘অরুণ আইসক্রিম’।

চার বছরের মধ্যে, অরুণ আইসক্রিম তামিলনাড়ুতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া আইসক্রিম হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে। ১৯৯৫ সালে, চন্দ্রমোগানও কেরলা এবং অন্ধ্র প্রদেশে তাঁর পণ্য বিক্রি করতে শুরু করে। নিজের আইসক্রিমের আউটলেটও খুলতে শুরু করেন একে একে। প্যাকেটজাত দুধ বিক্রি শুরু করেন। ২০১৪ সালে দেখা যায়, শুধুমাত্র অরুণ আইসক্রিম থেকে তাঁর আয় হয়েছে ২০০০ কোটি টাকা। পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবসা থেকেও আয় হয়। চন্দ্রমোগান কার্যত শিখিয়েছেন, কীভাবে ঘাম ঝরিয়ে সফল করতে হয় স্বপ্ন।