
কলকাতা মেট্রো, ভারতের সবচেয়ে পুরনো মেট্রো লাইন কলকাতার উত্তর-দক্ষিণ করিডোর। এই মুহূর্তে কলকাতায় ৫টা মেট্রো লাইন অ্যাক্টিভ। যা সব মিলিয়ে ৭৩ কিলোমিটারের কিছু বেশি দূরত্ব কভার করে। এর মধ্যে দীর্ঘতম লাইন হল ৩২.১৩ কিলোমিটারের উত্তর-দক্ষিণ করিডোর। এ ছাড়াও কলকাতা মেট্রোর ২৮.৫৩ কিলোমিটার লাইন এখনও নির্মাণাধীন। এ ছাড়াও অনুমোদন পেয়েও কাজ শুরু হয়নি ৩১.৭৪ কিলোমিটার লাইনের।
কিন্তু কলকাতার এত দীর্ঘ মেট্রো লাইনের একাধিক লাইন কিন্তু রেলমন্ত্রী থাকার সময় প্রস্তাব দিয়েছিলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতার একাধিক মেট্রো লাইনের কাজও শুরু হয় তাঁর আমলেই। নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দর হয়ে বারাসত, বরাহনগর থেকে দক্ষিণেশ্বর ও ব্যারাকপুর, নিউ গড়িয়া থেকে রাজারহাট হয়ে বিমানবন্দর ও জোকা থেকে মাঝেরহাট হয়ে বিবাদি বাগ মেট্রো উল্লেখ্যযোগ্য।
কিন্তু এ ছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন কিছু মেট্রো লাইনে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যা চালু হলে বদলে যাবে কলকাতা থেকে শহরতলির যোগাযোগ ব্যবস্থাই। যেমন? আচ্ছা ধরুন, আপনি এসপ্ল্যানেড থেকে মেট্রোয় উঠলেন, আর আপনি নামলেন ডায়মন্ড হারবার, ধুলাগড় বা সিঙ্গুরে। কী? অবাক হচ্ছেন? না, তিনি এই ধরনের মোট ৭টি মেট্রো লাইনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
জোকা থেকে ডায়মন্ড হারবার, বারুইপুর থেকে কবি সুভাষ, হাওড়া ময়দান থেকে ডানকুনি ও সিঙ্গুর হয়ে শ্রীরামপুর, হাওড়া ময়দান থেকে বেলুড়, হাওড়া ময়দান থেকে সাঁতরাগাছি হয়ে ধুলাগড়, জোকা থেকে মহানায়ক উত্তমকুমার ও ব্যারাকপুর থেকে কল্যাণী। আর এই ৭টি মেট্রো লাইন যদি তৈরি হয় তাহলে কিন্তু বদলে যাবে গোটা কলকাতা ও শহরতলির যোগাযোগ ব্যবস্থার মানচিত্র।