
অবশেষে গোটা দেশে কার্যকর হল নতুন ৪টে শ্রম কোড। আর এই বদলের পর সবচেয়ে বড় ধাক্কা যে কেউ খাবে তার মাসিক উপার্জনে। কারণ, নতুন আইন অনুযায়ী বেসিক পে ও ডিএ মিলিয়ে কস্ট টু কোম্পানি বা সিটিসির অন্তত ৫০ শতাংশ হওয়া উচিত। আর এর প্রভাব পড়বে অবশ্যই প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটির অঙ্কে। কারণ, বেসিক মজুরি বাড়লে এই দুই অঙ্কই বাড়বে বেশ খানিকটা করে।
অনেক সংস্থা এমন ছিল যাদের বেসিক পে ছিল ২৫ শতাংশ বা তার বেশি। আর নতুন নিয়মে সংস্থার বেসিক পে বাড়াতে হবে। ফলে কমে যাবে অন্যান্য ভাতা ও বোনার। আর এমন হলেও সিটিসি বা কস্ট টু কোম্পানি তো আর বাড়বে না। ফলে, কমবে কর্মীদের স্যালারিই। আর এই যে টাকা বাঁচল সেটা জমা পড়বে পিএফে। ফলে কর্মীদের আগামী নিয়ে চিন্তা কমবে বেশ খানিকটা।
এক বিশেষজ্ঞ বলছেন বিভিন্ন সংস্থার পে-রোল কাঠামো বদলাতে সময় লাগবে প্রায় আড়াই থেকে তিন মাস। এ ছাড়াও অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, কেন্দ্রের এই আইনের চূড়ান্ত নির্দেশিকা এখনও আসেনি। যা সংস্থাগুলোর হাতে আসতে লাগতে পারে ৪৫ দিনের মতো।
চূড়ান্ত নির্দেশিকা আসার পরেই বিভিন্ন সংস্থা তাদের বেতন কাঠামো পরিবর্তন করা শুরু করবে। তাই, জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাস থেকে অর্থাৎ নতুন বছরে আপনার স্যালারি স্লিপে এই নতুন নিয়মের প্রতিফলন দেখা যেতে পারে। আপনি আপনার হিসাব বদলে তৈরি থাকুন, কারণ ভবিষ্যতের সুরক্ষার জন্য এই সামান্য রদবদল মেনে নেওয়া আবশ্যক।